Skip to content

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুর বেড়ে ওঠায় পরিবার ও পারিপার্শ্বিকতা

আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। কথাটি আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু যাদের হাতে ভবিষ্যত নির্ভর করে, তাদের বেড়ে উঠাটা কেমন হয়? 

শিশুদের বেড়ে ওঠা অঞ্চল, গোষ্ঠী ও পরিবার ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। একটি একক পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠা ও একটি যৌথ পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠায় মধ্যে তফাৎ থাকে। একই ভাবে একটি গ্রামাঞ্চলের শিশুর এবং শহরাঞ্চলের শিশুর বেড়ে ওঠাতেও পার্থক্য রয়েছ। 

শিশুর বেড়ে ওঠায় সব চেয়ে বড় ভূমিকা রাখে মা-বাবা। একটি শিশুর প্রথম শিক্ষকই হলো তার মা। অর্থাৎ, শিশুর আচরণ কেমন হবে-না-হবে, সেই বিষয়টি অনেকটা নির্ভর করে তার মায়ের শিক্ষার ওপর। একটি শিশু চোখের সামনে যা দেখবে, সেটিই শিখবে। তাই পরিবার তার সামনে যেমন আচরণ করবে, সে-রকম আচরণই সে শিখবে।

গ্রামাঞ্চলে বেড়ে ওঠা শিশু এবং শহরাঞ্চলে বেড়ে ওঠা শিশুর মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। শহরাঞ্চলে বেড়ে ওঠা শিশুটি যেভাবে অল্প সময়ে যেকোনো বিষয় মাথায় নিতে পারে, গ্রামাঞ্চলে বেড়ে ওঠা শিশুটি তা পারে না। শহরাঞ্চলে শিশুকে মা-বাবা যতটা সময় দেন, গ্রামাঞ্চলে তা দেওয়া হয় না। গ্রামাঞ্চলের শিশুরা বাইরে সহজেই যেতে পারে, কিন্তু শহরাঞ্চলে যান্ত্রিকতার ব্যবহার বেশি হওয়ায় শিশুদের ঘরবন্দি-জীবন কাটাতে হয়।

অর্থাৎ, একটি শিশুর বেড়ে ওঠা পুরোটা নির্ভর করে শিশুর পরিবার, পরিবেশ ও অঞ্চলের ওপর। একেক পরিবারের শিশুর বেড়ে ওঠা যেমন একেক রকম হবে, একই ভাবে একেক অঞ্চলে বেড়ে ওঠা শিশুও একেক রকম হবে। শিশুর পারিপার্শ্বিক দিক যেমন হবে, শিশুর বেড়ে উঠাও সে-রকমই হবে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ