Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে জয়ী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ২ নারী

নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে ডিস্ট্রিক্ট-৩৯ থেকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ। অন্যদিকে কুইন্স কাউন্টি বিচারক পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ। তাদের এই বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের নতুন ইতিহাস রচিত হলো যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। 

 

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) নিউইয়র্ক সিটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। রাত ৯ টার পর থেকে ভোটের ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করতে থাকে নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া মোট ভোটের ৯৮ দশমিক ৮১ ভাগ ফলাফলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী শাহানা হানিফ পেয়েছেন ২৮ হাজার ২৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেট উইনকুপ পেয়েছেন ২ হাজার ৫২২ ভোট। 

 

এদিকে কুইন্স কাউন্টি বিচারক পদে অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির উইলিয়াম ডি. শানাহান পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৬২ ভোট। 

 

প্রাপ্ত ভোটের যে ব্যবধান রয়েছে তাতে শাহানা হানিফ এবং অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ বেসরকারিভাবে চূড়ান্ত বিজয়ের পথে রয়েছেন। মেইল ইন এবং অ্যাবসেন্টি ব্যালট গণনার জন্য চূড়ান্ত ফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে তা হবে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
 
এর আগে চলতি বছরে তিনি ২২ জুনের প্রাইমারিতে জয়ী হয়ে সাধারণ নির্বাচনে ডেমোক্রাটিক পার্টির আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পান অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ। দশ বছরের জন্য তিনি এই পদে আসীন থাকবেন। তার আদালতে ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত মামলার শুনানি করার এখতিয়ার থাকবে। 

 

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে জয়ী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ২ নারী

 

অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী ছিলাম সব সময়ে। জয়ের পথে রয়েছি এটা জানলেও কখনো সেটা নিজে মনে করিনি এবং কাউকে বুঝতে দেইনি। কারণ আমাদের জয়ের পুরো বিষয়টি নির্ভর করছিল ভোটারদের ওপর। তারা ভোট না দিলে জয়ী হতে পারতাম না। এ কারণে নিশ্চিত করে বলার কোন সুযোগ ছিল না যে আমি জয়ী হবই। 

 

তিনি আরও বলেন, আমার জয়ে আমি আনন্দিত। আনন্দিত তারাও যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমি নিষ্ঠার সাথে কাজ করে গেছি। ভবিষ্যতেও করে যাবো। 

 

ডিস্ট্রিক্ট-৩৯ থেকে কাউন্সিলওমেন পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী শাহানা হানিফ বলেন, আমার এলাকায় বাংলাদেশি ভোটার আছেন। তবে সংখ্যা অনেক বেশি নয়। তারপরও তাদের ভোট আমার জন্য খুবই জরুরি ছিল। পাশাপাশি আমার এলাকায় বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ বাস করেন। তাই তাদের ভোটের ওপর আমাকে নির্ভর করতে হয়েছে, যাতে আমি সব কমিউনিটির ভোট পেয়ে জয়ী হতে পারি।

 

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে জয়ী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ২ নারী

 

তিনি আরও বলেন, আমি প্রাইমারিতে জয়ের পর এটা মনে করেছিলাম যে আমি সিটি হলে যেতে পারবো। কিন্তু এই চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সাধারণ নির্বাচনে জয় প্রয়োজন। সেই জয়ের মাধ্যমে সেটি হলে যাওয়ার সুযোগ মেলে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে।

 

শাহানা হানিফ বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের সহায়তা ছাড়া এটি কখনো সম্ভব ছিল না। আমি দীর্ঘ পনের বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করে গেছি। দিনে দিনে আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে সেই সব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পেরেছি। সব মিলিয়ে বলা যায় যে অভিজ্ঞতা অর্জন করা আমার প্রয়োজন ছিল। আমি আমার ডিস্ট্রিক্টের সবার প্রতি এবং আমাকে যারা এনডোর্স করেছেন, ভোটে অংশ নেওয়া, জয়ী হওয়ার ব্যাপারে সহায়তা করছেন, যারা ভোট দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ