কি করবেন ছুটিতে?
করোনার প্রকোপে সারাবিশ্ব এখন সংকটের মুখে। এক বছরেরও দীর্ঘ সময় ধরে চলছে এই সংকটময় অবস্থা। এর মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব রেখে চলছে জীবনযাত্রা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর কারণে আবার সাময়িক লকডাউনেও আছে দেশ। এর মধ্যেই আবার চলে এলো ঈদ-উল-ফিতর। করোনার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো উদযাপন হবে এবছরের ঈদ। গতবছরও ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন হয়েছিলো করোনার প্রথম ঢেউ এর মাঝে, আর এবছর ঈদের সময়ে দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। তাই গতবছরের মতো এবছরও ঈদের ছুটিতে বাইরে যাওয়া হবেনা, আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যাওয়া হবেনা, কোথাও ঘুরতে যাওয়া হবেনা বন্ধুদের সাথে। ঘরে বসেই কাটাতে হবে ছুটি। তবে আপনি চাইলে এই ছুটিও উপভোগ করতে পারেন। ঘরে বসে আপনি এমন অনেক কিছুই করতে পারেন যা আপনার এবারের ছুটিকে বিশেষ করে রাখবে।
পরিবারকে সময় দিন
ব্যস্ততম বর্তমান সময়ে পরিবারের সাথে খুব বেশি সময় কাটানো হয়ে ওঠে না। ব্যস্ততার মাঝে আমরা ভুলেই যাই পরিবারকে সময় দিতে। নিজে ও পরিবারের সঙ্গে কাটানো এই সময়টাকেও আপনি উপভোগ করতে পারেন। এই সময়টি হতে পারে আপনার পরিবারের সঙ্গে কাটানো সুন্দর একটি সময়। এসময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করুন।
পরিবারের সদস্যরা কোন সমস্যায় পড়লে সমাধানের চেষ্টা করুন। একসঙ্গে খাবার খাওয়া, খাবার টেবিলে কথাবার্তা, একসঙ্গে ঘরের কাজ, ইনডোর খেলাধুলা ও মুভি দেখার মাধ্যমে ঘরে বসেই একটা সুন্দর সময় পার করতে পারেন পরিবারের সাথে।
বই পড়ুন
ঘরে থাকার একঘেয়েমি কাটাতে বই পড়ুন। অবসর কাটানোর অনেকেরই পছন্দ বই পড়া। কেননা বই-ই তো আমাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। সাহিত্যের রস উপভোগের সেরা সময় এই অবসর। এ সময়ে পড়ার জন্য আপনার যে বইটি ভালো লাগে সে বইটিই পড়ুন, তা হতে পারে গল্প, কবিতা বা উপন্যাস বা যেকোনো ঘরানার বই-ই। বাসায় থাকা বইগুলো পড়ুন, ব্যস্ততার কারণে ইতোপূর্বে পড়তে চেয়েও পারেননি, সেসব বইগুলো পড়ে নিন। নিজ সংগ্রহে না থাকলেও অনলাইনে পিডিএফ ফরম্যাটে বই পাওয়া যায়, প্রিয় বইগুলো ডাউনলোড করে পড়তে পারেন। বই জ্ঞানের পরিধি বাড়ায়, আলোকিত ব্যক্তিত্ব, আলোকিত সমাজ ও দেশ গঠন করতে ভালো বইয়ের জুড়ি নেই। সেই সাথে পত্রিকা/অনলাইনের গুরুত্বপূর্ণ খবর ও লেখাগুলো পড়ুন।বই পড়ার অভ্যাস না থাকলে এসময় এই অভ্যাসটা গড়ে তুলতে পারেন।
সৃজনশীল কাজ করুন
ঘরে বসে কাটানো সময়গুলো গয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। আপনার সৃজনশীল প্রতিভাকে ঝালিয়ে নিন। কাজের মাঝে আমরা অনেকেই নিজের সৃজনশীল কাজের দিকে নজর দিতে ভুলে যাই। এসময় নাচ, গান, ছবি আঁকাসহ নানা বিষয়ে সৃজনশীল কাজ করুন। গানের রেওয়াজ করতে থাকুন। নাচের মুদ্রাগুলো ঝালিয়ে নিন। সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করুন। খেয়াল করুন অন্য মানুষ আপনার সম্পর্কে কি মন্তব্য করছেন।
বন্ধু ও আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ নিন
করোনার এই সংকটময় অবস্থায় বন্ধু ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা বলুন। ভার্চুয়ালি তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। পুরোনো বন্ধুদের খোঁজ নিন। ফোনে গল্প করুন। প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্স করে পুরোনো বন্ধুরা অনলাইনে জমাট আড্ডা দিতে পারেন। এটি বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে কাজে দেবে। এই সময়ে যতটা পারুন হাসি-খুশি ও সুস্থ্ থাকার চেষ্টা করুন। নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করুন।