Skip to content

শেকৃবিতে ‘পাক্ষিক অনন্যা’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

শেকৃবিতে ‘পাক্ষিক অনন্যা’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

গৌরবের ৩৩ পেরিয়ে ৩৪ বছরে পাক্ষিক অনন্যা। এই দীর্ঘ ৩৩ বছরে অনেক কিছু থেমে গেলেও থামেনি অনন্যা। ১৬ অক্টোবর শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয়েছে অনন্যার ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। একই দিন উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) তরুণ পাঠক সংগঠন ’আঠারো প্রভা’।

 

১৭ তারিখ সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেন পাক্ষিক অনন্যার নিয়মিত পাঠক ও আঠারো প্রভার সদস্যরা। এ সময় তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অনন্যা ১৮ প্রভা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ র‍্যালি করেন এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পোস্টার লাগান। 'বিয়ে মানেই বউয়ের শরীর সম্পত্তি নয়, জোর করে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ হয়', 'নির্যাতন মানেই নয় পুরুষত্ব; অপরাধী সে, বিকৃত মনুষ্যত্ব', 'শত সরস্বতী যায় ঝড়ে, যত লক্ষী সাজানোর ঘোরে', প্রভৃতি শ্লোগান সম্বলিত এসব পোস্টারে বাংলাদেশের নারী নির্যাতন, বৈষম্য ও অধিকার আদায়ে সচেতনতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে।

 

ক্যাম্পাসে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পোস্টারিং-এর পাশাপাশি আয়োজন করা হয় বিশেষ আলোচনা সভার। এ সময় ক্যাম্পাসের তরুণ-তরুণীরা নিজেদের মধ্যে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে। এখানে নারীবাদ ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, নারী নির্যাতন ও প্রতিকার, নারীর মৌলিক অধিকার আদায়ে করণীয়সহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।

পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নারী অধিকার আদায় ও তাদের সচেতন করে তুলতে অনন্যার অবদান ও গুরুত্ব তুলে ধরেন আঠারো প্রভার শেকৃবি শাখার আহ্বায়ক নাজমুন নাহার। তিনি বলেন, অনন্যা নারীর নিয়ে কথা বলে, আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। পিছিয়ে পড়া নারীকে অনুপ্রেরণা দিতে পাক্ষিক অনন্যা সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতেই আমরা নিয়মিত অনন্যায় লিখতে চাই, অনন্যার সঙ্গে থাকতে চাই।