Skip to content

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাত্র তিন বছর বয়সে সাঁতারে রেকর্ড!

মাত্র ৩ বছর বয়সে কোন শিশুকে সাধারণত আমরা এক পা দু পা ফেলে হাঁটতে দেখেই অভ্যস্ত । হাঁটা-চলা, দুষ্টুমি আর যেকোনো কাজই মজার। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক কম বয়সে অনেকে আবার অসাধারণ কসরত দেখিয়ে দেয়। তেমনি একজন ক্ষুদে সাঁতারু সাদিয়া জাফরিন সারা । আসুন এবার জেনে নেয়া যাক সেই ক্ষুদে সাঁতারুর রেকর্ড। 

 

মাত্র ৩ বছর বয়সেই পুলে নেমে প্রতিযোগিতা মূলক সুইমিং এ রেকর্ড গড়েছেন সাদিয়া জাফরিন সারা। ঢাকায় চলমান বঙ্গবন্ধু বয়স ভিত্তিক সাতার প্রতিযোগিতায় সারার সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন তার বড় বোন আয়শা তাবাসসুম সাবাও । কারাতে অরেঞ্জ বেল্ট অর্জন করে সুইমিং পুলে তার দক্ষতা দেখানোর জন্য নিজেকে তৈরি করছে সারা। সারে ৫ বছর বয়সী তার বোন আয়শা তাবাসসুম সাবাও কারাতেতে  ব্লাক বেল্ট এর অধিকারী। সাতারেও বেশ পটু সে। এত কম বয়সে দুই বোনের অর্জনগুলোর পেছনে প্রেরণা তাদের বাবা দস্তগীর আব্দুল্লাহ ও মা মারুফা খাতুন। 

 

ক্ষুদে সাঁতারুদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা জানায় পানিতে ভাসতে তাদের ভালো লাগে। আর এই ভালো লাগার থেকেই সাঁতারে আগ্রহ। এভাবেই তারা আরও একটি ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে ওঠে। এছাড়াও সুইমিং, কারাতে , বক্সিং, উশু, জুডুতেও পারদর্শী তারা। তাদের প্রশিক্ষকের ধারনা তাদের শারীরিক ও মানসিক গঠন একজন ভালো ক্রীড়াবিদের মতই উপযুক্ত ।

 

বাবার অনুপ্রেরণাতেই কারাতে খেলছে মেয়েরা। বাবার স্বপ্ন মেয়েরা হোক দক্ষ ক্রীড়াবিদ। তাই মেয়েদের দৈনিক নিয়মও একেবারে বাধা ধরা। আর এই নিয়মের বাঁধাধরা অনুশীলন করেই এবারের জাতীয় সাতারে ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইল ইভেন্টে অংশ নিয়েছে সাবা ও সারা। অনূর্ধ্ব ১০ বছর বয়সীদের ইভেন্টে অংশ নেয়া সাবা ও সারার টাইমিং মুখ্য নয়। ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ হয়ে ওঠাটাই বড় কথা।

 

তাদের বাবার এ অনুপ্রেরণা যেন সকল অভিভাবকদের জন্য অনুকরণীয়। মেয়ে মানেই আর চারদেয়ালে বন্দি জীবন না। নিজের বুদ্ধি আর দক্ষতা দিয়ে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারাটাই সাফল্য । আর সেই দক্ষতা বাড়ানোর কাজটি যদি করা যায় শুরুর দিক থেকেই তবে সফলতা যেন অবধারিত । 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ