Skip to content

৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দরকার নারীবান্ধব প্রনোদনা প্যাকেজ!

করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময় ঘোষিত হয়েছে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এর সুফল নারী কতটুকু পেয়েছে? নারীদের জন্য তেমন কার্যকর হয়নি এ প্যাকেজগুলো। 

সমীক্ষা বলছে বেশিরভাগ নারী এসব প্যাকেজ সম্পর্কে জানেন না। যারা জানেন  তাদের মধ্যে ঋণের জন্য আবেদনের অনিচ্ছা লক্ষ্য করা গেছে। এর কারণ অর্থনৈতিক মন্দা এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা।  তাই ঋণ নয় বরং নগদ সহায়তাই বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেক নারী উদ্যোক্তা। 

 

আর এমন পরিস্থিতি মোকাবেলার উদ্দেশ্যই  প্রয়োজন নারীবান্ধব প্রণোদনা প্যাকেজের৷  তাই, নারীবান্ধব নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ এবং বর্তমান প্যাকেজগুলোতে নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ এসেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত 'সরকারের আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধার ব্যবস্থা :নারীরা কতটা উপকৃত হয়েছে' শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে। সংলাপ আয়োজনে সহায়তা করে ইউএন ওমেন।

অতিমারিতে নারীদের বৈশ্বিক চিত্র তুলে ধরে ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শোকো ইশিকাওয়া বলেন, এসব প্যাকেজ নারীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ও স্বচ্ছভাবে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও পারসোনার প্রধান নির্বাহী কানিজ আলমাস বলেন, ঋণের চেয়ে সরাসরি অর্থ সহায়তা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তাদের বেশি উপকার হতো। করোনাকালে নারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট মওকুফের অনুরোধ জানান তিনি।

সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। প্রতিবেদনে সিপিডি পরিচালিত গত অক্টোবরের এক জরিপের তথ্য উল্লেখ করা হয়। এতে দেখা যায়, করোনায় ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ নারী উদ্যোক্তার ব্যবসা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এসব উদ্যোক্তার ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ি ভাড়া নিয়মিত চালিয়ে নিতে পারছেন না। ৫০ শতাংশ উদ্যোক্তা সরকারি ভ্যাট, কর এবং অন্যান্য সেবা মূল্য পরিশোধ করতে পারছেন না। 

 

এরপর সংলাপের প্রধান অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, এটা ঠিক যে, অনেকে সহযোগিতার অভাবে ঋণ নিতে পারেননি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে হয়তো পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। তবে সরকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে প্রণোদনার আলোচনা চলছে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ