Skip to content

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে মাতৃদুগ্ধ পানে সহায়তায় শীর্ষে বাংলাদেশ

নবজাতকের জন্য মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই। মায়ের বুকের দুধ শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মায়ের দুধে শিশুর প্রয়োজনীয় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান সঠিক মাত্রায় থাকে। এ ছাড়া মায়ের দুধে আছে শতকরা ৯০ ভাগ পানি। সে জন্য ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধই শিশুর জন্য যথেষ্ট। এমনকি শিশুকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত আলাদা পানি পান করতে দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। মায়ের দুধের অ্যান্টিবডি শিশুর প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে।

 

মাতৃদুগ্ধ পানে সহায়তায় বিশ্বসেরা হয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ এর তথ্যমতে, ৯৮টি দেশের মধ্যে ৯১ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ এ তালিকায় প্রথম। নবজাতক ও ছোট শিশুর খাবারের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ এ স্কোর অর্জন করেছে। 

 

এই তালিকার প্রথম তিনটি দেশই দক্ষিণ এশিয়ার। বাংলাদেশ ছাড়া বাকি দুটি দেশ হলো শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। ৯১ স্কোর নিয়ে শ্রীলঙ্কা আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। ৮৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। এই তিন দেশ ছাড়াও তালিকায় প্রথম দশে রয়েছে কিউবা, গাম্বিয়া, বলিভিয়া, তুরস্ক, এলসালভাদোর, নাইজার, কেনিয়া।

 

এ তালিকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে লিবিয়া। তাদের স্কোর ১৯। বোঝাই যাচ্ছে শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানের হার কতো নিম্ন সেখানে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৭৯তম। এ ছাড়া ৪০ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আছে ৮৬তম অবস্থানে। যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৬৫তম, তাদের স্কোর ৫০ দশমিক ৫। এছাড়া জার্মানির অবস্থান ৯৫ এবং অস্ট্রেলিয়া ৯৫তম অবস্থানে রয়েছে।

 

ডব্লিউবিটিআই এর এই সূচকে বাংলাদেশ জাতীয় নীতি, কর্মসূচি ও সমন্বয়ে ৭, শিশুবান্ধব হাসপাতালের প্রচেষ্টায় ৮, আন্তর্জাতিক কোড বাস্তবায়নে ৯, মাতৃত্ব সুরক্ষায় ৮ দশমিক ৫, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি যত্নে ৯, মায়েদের সহায়তা এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততায় ১০, তথ্য সহায়তায় ১০, নবজাতককে খাওয়ানো ও এইচআইভিতে ১০, জরুরি অবস্থায় নবজাতককে খাওয়ানোয় ১০ এবং পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নে ১০ পেয়েছে।

 

বাংলাদেশের এ অর্জন ২০০৫ সাল থেকে প্রচেষ্টার ফসল। এ অর্জন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির প্রতি সরকারের উচ্চমাত্রার অঙ্গীকারের প্রতিফলন। আশা করা যায় ভবিষ্যতে আরো উন্নয়নমূলক তালিকায়ও বাংলাদেশকে শীর্ষের দিকে পাওয়া যাবে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ