দূরত্ব
বহুদিন পর আমার সকাল কেটেছিল হাসিমুখে,
তাতে ক্লান্তির মাঝেও একটুখানি আবদার –
সেই আবদারের পেছনে ছুট,
ছুটে ছুটে পূর্ণতা।
যত সন্ধ্যে নেমে আসে,
আমি ক্রমশ বিষন্নতায় ডুবতে শুরু করি,
যে বিষন্নতা দূরে যাওয়ার,
তোমাকে রেখে আসার,
আয়ার ক্রমশ না বুঝতে পারা মৌনতা –
যেন মন খারাপের দলছুট।
মনের চেয়ে বড় শত্রু আমার নেই –
মন চায় তোমায়,
সেই মন বলে তুই সরে যা –
থাকতে সে সুখে,
এমন কাটা কাটা অস্তিত্ব নিয়ে কতদিন বাঁচবো তা নিয়ে ভাবনায় কেউ,
আর আমি?
বর্ণকে ছুটি দিয়ে বিষন্ন ক্লান্ত,
তাই নেশার আসর আমায় বারবার ডাকে,
আমি যাইনা, আমি কোথাও যাইনা।
যদি কোনোদিন সময় আসে –
ঠিকঠাক চলে যাবো কোন বিষন্ন অন্ধকার ঘরে,
তালাবন্দি জীবনে নিজেকে মানাতে গিয়ে হয়ে উঠবো গবাদিপশু,
তখন কি নিষ্পাপ চোখে তাকিয়ে থাকবো?
নাকি প্রত্যেকেই এভাবে বোবা হয়ে ওঠার দিকেই এগিয়ে চলে?
কতটা অস্পষ্ট হলে সম্পর্কে নোনা ধরে?
কত বড় দেয়াল হলে "আমার আকাশ" বলা থমকে যায়?
কতটা দূরে গেলে তোমার যন্ত্রণা মেটে?
আমি ঠিক জানি –
খুব বেশি দূরে না।
তোমার পায়ের নিচে যে মাটি,
তার আড়ালে সরে গেলেই হয়তো।