Skip to content

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সতেজ খাবারে থাকুন চিরতরুণ

যৌবন ধরে রাখতে আমরা কত কিছুই না অনুসরণ করি, অথচ এমন কিছু খাবার আছে, যা নিয়ম করে খেলে যৌবন অটুট থাকে। জেনে নিন এসব খাবারের কিছু তথ্য। 

 

ডিম 
ডিম সিদ্ধ হোক কিংবা ভাজিসব ভাবেই ডিম শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫,ও বি-৬ আছে। যা শারীরিক হরমোন কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় এটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে। 

 

দুধ
শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং যৌবন ধরে রাখতে দুধের ভূমিকা অতুলনীয়। বিশেষ করে ছাগলের দুধ পুরুষের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে। এর রহস্য হল এই যে, দুধ রতিশক্তি সৃষ্টি করে দেহের শুষ্কতা দূর করে এবং দ্রুত হজম হয়ে খাদ্যর স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়। চেহারায় লাল বর্ণ তৈরি করে। দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিষ্ক শক্তিশালী করে। 

 

চিনি ছাড়া চা
প্রতিদিন দুধ চিনি ছাড়া চা পান করলে শরীরে প্রচুর আ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা ব্রেইন কে সচল করে, রক্ত চলাচল ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত তিন থেকে পাঁচ কাপ পর্যন্ত চিনি ছাড়া সবুজ চা বা রঙ্গ চা খেলে শারীরিক স্বাস্থ্যে ভালো থাকে এবং শরীরের ওজন কিছুটা হলেও কমে যায়। 

 

রঙিন ফল
শারীরিক স্বাস্থ্যে ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন।  আঙুর, কলা, কমলা, তরমুজ ইত্যাদি ফল শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী,  একজন পুরুষের প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন -সি থাকলে তার স্পার্ম এর কোয়ালিটি উন্নত হয়। আবার টেক্সাসের A&M ইউনিভার্সিটি মতে। তরমুজ শরীরে শারীরিক উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। 

 

রসুন 
এতে রোগ নিরাময় হয়। রসুনের অনেক উপকারিতা রয়েছে। রসুন ফোড়া ভালো করে। ঋতুস্রাব চালু করে। প্রসাব স্বাভাবিক করে। পাকস্থলী থেকে গ্যাস নির্গত করে। নিস্তেজ লোকদের শারীরিক ক্ষমতা সৃষ্টি করে। পাকস্থলী ও গ্রন্থের ব্যথার উপকার সাধন এ্যাজমা এবং কাঁপুনি রোগেরও উপকার সাধন করে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অধিক রসুন ব্যাবহার ক্ষতিকর। এই রসুনকে আবে হায়াত ও বলা হয়। 

 

মধু
মধুর রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। সকালে খালি পেটে জিহ্বা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর হয়। পাকস্থলী পরিষ্কার হয়। দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়। গ্রন্থ খুলে দেয়। পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়। মস্তিষ্ক শক্তি লাভ করে। স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে। যতি শক্তি বৃদ্ধি হয়। মূত্রনালির পাথর দূর করে। প্রসাব স্বাভাবিক হয় গ্যাস নির্গত হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়। প্যারালাইসিসের জন্যও মধু উপকারী। 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ