Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণের সমস্যার সমাপ্তি 

বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরী-কিশোরীদের ব্রণের সমস্যা যেন প্রায় অনেকেরই দেখা যায়। আমাদের দেশে ছেলেমেয়েদের এই বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে পরিণত বয়সেও এই সমস্যায় পরেন। ব্রণ সাধারণত মুখে দেখা গেলেও অনেক সময় মাথা, পিঠ ও ঘাড় ও বুকেও দেখা দিতে পারে। তবে এই ব্রণ হওয়ার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে। 

 

টিনএজারদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকালে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্য। যার ফলে এই সময়ে ব্রণ হওয়ার অনেক বেশি সম্ভাবনা থাকে।

 

মাসিক বা গর্ভাবস্থায় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন। হরমোন এর প্রভাবে শরীরের নানান পরিবর্তনের মধ্যে ব্রণের সমস্যা চোখে পড়ার মত।

 

কসমেটিক, বিশেষ করে ঘন ঘন ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার বা মেকআপের প্রভাব। মেকাপে থাকা কেমিক্যাল ত্বকের উপযোগী না হলে ত্বকের উপরে ব্রণের আস্তরণ পরে যায়। এই এসব বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন থাকা জরুরি। 

 

জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, স্টেরয়েড, খিঁচুনি বা মানসিক রোগের ওষুধ ইত্যাদির প্রভাব।

 

অত্যধিক গরম বা বেশি ঘর্মাক্ত হওয়া। প্রচণ্ড গরমে অস্বস্তিকর পরিবেশে খাপ খাওয়াতে না পারায় দেখা যায় এলারজি সহ ত্বকের নানান সমস্যা। অনেকে ব্রণ হলে মুখে সাবান ব্যবহার বন্ধ করে দেন অথচ এ সময় সাবান দিয়ে মুখ ধুলে উপকার হয়, কেননা সাবান মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করে এবং লোমকূপ পরিষ্কার রাখে।

 

তেলতেলে চুল ও মাথার খুশকি। মাথার ডেডসেল এই মূলত খুসকি। এই খুসকিই আবার কখনো কখনো ত্বকের এলারজির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর চুলের তেল আমাদের মুখের ত্বকের ছিদ্রপথ বন্ধ করে দেয়। ফলে ত্বকে অক্সিজেনের চলাচল না হওয়ায় ব্রণের সমস্যা দেখা যায়। 

 

মানসিক চাপ ও পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। ঘুমের সাথে যেন ব্রণের সমস্যার সাথে নিবিড় সম্পর্ক। মানব শরীরে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। এছাড়াও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব ও নারীদের মাসিক ঋতুস্রাবের সঙ্গেও ব্রণের সম্পর্ক রয়েছে।

 

ব্রণের নানা ধরন রয়েছে।  ছোট ছোট গোল ফুসকুড়ি, লালচে ছোট ছোট গোটা, আবার পুঁজ-পূর্ণ বড় বড় চাকাও হতে পারে। ব্রণ টিপলে ভাতের দানার মতো বের হয়ে আসে।  কিছু ব্রণ খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়।  এতে ত্বকে ছিদ্রও দেখা দিতে পারে।  কারও কারও মুখে ব্রণের তীব্রতা বেশি থাকলে তা এবড়োখেবড়ো দেখায়।

 

সচেতনতার মাধ্যমেই বেশিরভাগ ব্রণ দূর করা যায় বা কমানো যায়।  তবে আক্রান্তের গুরুত্ব বিবেচনা করে ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।  চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ব্রণ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি, বিশেষ করে ত্বকে গভীর প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য মলম প্রয়োগ, অ্যান্টিবায়োটিক অথবা রেটিনয়েডজাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারে।

 

মাথায় খুশকি থাকলে অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে খুশকি দূর করুন। অ্যালার্জি না থাকলে বেনজাইল পার-অক্সাইড লোশন ব্যবহার করতে পারেন।

 

বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীর নানান পরিবর্তনের মধ্যে ব্রণ একটা অন্যতম প্রধান সমস্যা। এ সময়ে প্রয়োজন সচেতনতার। কারণ সচেতনতার মাধ্যমেই ব্রণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ