কোভিড চিকিৎসায় ভিটামিন ডি
সম্প্রতি অনলাইন জগতে কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক বা টিকা নিয়ে তুমুল শোরগোল দেখা যাচ্ছে। এমন হয়েছে এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে একশ্রেণীর মানুষ সবাইকে থানতুনি পাতা সেবন করিয়েছে। সাধারণ মানুষের আবেগ নিয়ে প্রত্যহ একশ্রেণীর মানুষ তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ইদানীংকালে ফেসবুকে ভিডিও কিংবা লেখনীর মাঝে ভিটামিন ডি এর কোভিড দুরীকরণের কিছু নমুনা দেখানো হচ্ছে।
কোভিড-১৯এর চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত বহু রকম উপায় বাতলানো হয়েছে। গবেষণা সংস্থা গুলো প্রাথমিক ভাবে সকল বিষয়ের উপর একটি পর্যবেক্ষণ চালান এরপর তাদের পরীক্ষালব্ধ ফলাফলের সম্ভাবনা যাচাই করে কোন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, আইভারমেকটিন, ভিটামিন-ডি – এগুলোর প্রতিটি নিয়েই গবেষণা হয়েছে বা এখনো হচ্ছে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রক্রিয়ায় এটা স্বাভাবিক ঘটনা যে – প্রথমে মনে করা হয়, এই রোগের চিকিৎসায় এই ওষুধ কার্যকর হতে পারে – কিন্তু আরো গবেষণার পর দেখা যায় – তা নয়।
কিন্তু অনলাইনে ব্যাপারটা ভিন্ন চেহারা নেয়। অনেক প্রাথমিক গবেষণা বা নিম্ন-মানের গবেষণার ফলও প্রেক্ষাপট-বিবর্জিতভাবে ইন্টারনেটে শেয়ার হয়। এগুলো সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি, এবং তার পর তা ব্যবহৃত হয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের কাজে। নিচু মন মানসিকতার লোকেরা তাদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যতে এমনটা করে থাকেন।
অক্সফোর্ডের রিসার্চ ফর ইনফেকশাস ডিজিজের একটি প্যানেল বিবিসির কাছে জানায়, "এখনো অবধি শতভাগ স্বক্রিয় কোন প্রতিষেধক বা উপাদান আবিষ্কার করা সম্ভব হয় নি,কেননা ভাইরাসটি প্রতিনিয়তই তার জিনোম সিকোয়েন্স পরিবর্তন করে"।
বর্তমান বিশ্বে ব্যবসা শব্দটি সকলের রক্তে জড়িয়ে গেছে। মানুষ তার নিজের প্রফিট ছাড়া এক কদমও নড়তে নারাজ। তাদের ছড়ানো গুজব থেকে যে একটি জীবন শেষ হয়ে যেতে সে হিতাহিত জ্ঞান টুকু তাদের হারিয়ে গেছে। অদূর ভবিষ্যতেও এমন বিভিন্ন ভুল তথ্যের সামনাসামনি হবে মানুষ। এমত অবস্থায় সকলের উচিত নিজে জায়গায় সচেতনতা বৃদ্ধি করে সুস্থ থাকা।