Skip to content

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বপ্ন ভ্রমণের সাথী সেমিনো

মানুষের উচ্চভিলাষী স্বপ্ন যেন এক চিরচয়িত রূপ। মানুষ আদি থেকেই নিজের অবস্থা পরিবর্তনের সাথে সাথে তার অভ্যাসের পরিবর্তন করে যায়।তেমনি বিশ্বের শীর্ষ সম্পত্তিশালীদের একটি আকাঙ্ক্ষা হল সমুদ্র ভ্রমণ। সমুদ্র ভ্রমণকে আমোদময়ী করার জন্য চলে এসেছে অতিদানবাকার ইয়ট-সেমিনো।

 

আয়তন ও দৈর্ঘ্যে এটি এতটাই বড় যে এর নির্মাতারা একে বলছেন পৃথিবীর প্রথম সুপার ইয়ট। আর বিশালতার জন্য এটি ‘ইয়ট লাইনার’ নামে পরিচিত। দৈর্ঘ্যে ৭২৮ ফুট লম্বা এই ইয়টটি দৈর্ঘ্যে এবং প্রস্থে উভয় দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড়। এই সুপার ইয়টটিকে সমুদ্রে নামানো হবে ২০২৪ সালে। 

 

ল্যাটিন ভাষায় সোমিনো শব্দের অর্থ স্বপ্ন দেখা। নির্মাতাদের স্বপ্নের এই ইয়ট নির্মাণ প্রোজেক্ট যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে ব্রিটেনের উইঞ্চ ডিজাইন, সুইডেনের টিলবার্গ ও নরওয়ের শীর্ষ জাহাজ নির্মাতা কোম্পানি ভার্ড। ইউরোপ ভিত্তিক এই সুপার ইয়ট নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৬০০ মিলিয়ন ডলার। ৬ তলা বিশিষ্ট এই সমুদ্রযানে থাকবে সর্বমোট ৩৯টি অ্যাপার্টমেন্ট, রেস্টুরেন্ট, বার, এবং একটি ভাসমান বিচ ক্লাব।

 

সোমিনো প্রোজেক্টের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, এই ইয়টের অ্যাপার্টমেন্ট কেনা যাবে যদি আপনার কাছে থাকে কোম্পানির সুপারিশ অথবা আমন্ত্রণপত্র। আর তাতে ব্যয় করতে হবে অ্যাপার্টমেন্ট প্রতি ১১ মিলিয়ন ডলার। ক্রেতাদের নাম গোপন রেখে ইতোমধ্যে এই ইয়টের বেশ কিছু অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রিও হয়ে গেছে। বিলাসবহুল এসব অ্যাপার্টমেন্টে থাকবে জিমনেশিয়াম, লাইব্রেরি ও সেভেন স্টার হোটেল সমমানের অন্যান্য সকল সেবা সমূহ। গ্রাহকদের স্বাস্থ্য-ঝুঁকির ব্যাপারটিকে মাথায় রেখে ইয়টটিতে রাখা হয়েছে একটি বিশ্বমানের সর্বাধুনিক হাসপাতাল।

 

শুধু বিলাস যাত্রাই নয়, বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারটিকে মাথায় রেখে সোমিনোর নির্মাতাগণ পরিবেশ ও সমুদ্র বিজ্ঞানীদের গবেষণার সুবিধার্থে ইয়টটিতে রেখেছেন উচ্চমানের আধুনিক গবেষণার সর্বপ্রকার সুবিধা।

 

মানুষ স্বল্পের ভিতরে সমাধান খুঁজে বেড়ানোতে ওস্তাদ। মানুষের আমোদী স্বভাব যেমন পরিবর্তনের নয় ঠিক তেমনেই বলা যায় স্বপ্নের এক যাত্রায় ভেসে বেড়াবে ইয়ট সেমিনো।

 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ