Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁঠালের বীজে মিলবে বিভিন্ন রোগের সমাধান

জাতীয় ফল কাঁঠালে আছে অনেক পুষ্টি উপাদান।যা আমাদের শারীরিক অনেক উপকার ও করে। কাঁঠালে যেমন গুণাবলি ও পুষ্টি উপাদান আছে তেমনই তার বীজেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। যা আসলে বলে শেষ করা যাবে না।এই বীজের গুনাগুণ এতো ই বেশি যে আপনার কম বেশি সব ধরনের রোগের সমাধান পাওয়া যাবে এই বীজ থেকে।

 

তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক, কাঁঠাল বীজ খেলে কি কি সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

 

 

হজমশক্তি বাড়ায়: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে বিপাকক্রিয়া বাড়ায় কাঁঠাল বীজ। প্রচুর ফাইবার থাকায় ডায়রিয়া হলে তা নিরাময়ের ক্ষেত্রে ও ব্যবহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে এটি আগে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। বদহজমের ক্ষেত্রে সহজ হোমমেড রেমেডি এই পাউডার।
  
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়:  কাঁঠাল বীজে আছে প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন এ। ভিটামিন এ এর কাজ আমরা সবাই জানি। এটি চোখের জন্য খুবই জরুরি। যার চোখ বেশি সুন্দর তার চোখ তত বেশি মায়াবি। কিন্তু অনেকে চোখের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগেন। তাই চোখের সমস্যা নিরাময়ে খেতে পারেন কাঁঠালের এই বীজ। নিয়মিত কাঁঠালের বীজে মিলবে সমাধান। এমনকি এটি নাইট ব্লাইন্ডনেস কাটাতেও সাহায্য করে।

যৌন চিকিৎসায়:  যৌনব্যাধিতে কাঁঠালের বীজের ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। এশিয়ার অনেক দেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করে থাকনে। এর মূল  কারণ হল এর গুনাগুণ। তাই কোন ধরনের যৌন সমস্যা হলে খেতে পারেন নিয়মিত এই কাঁঠালের বীজ।

 

পেশী গঠন:  উচ্চমানের প্রোটিন সমৃদ্ধ কোলেস্টেরলবিহীন বীজটি ডায়েট চার্টে থাকলে তৈরি হবে পেশীবহুল শরীর। মিলবে ক্যালরিও। যারা পেশিবহুল শরীর পেতে চান তারা নিয়মিত খেতে পারেন এটি। এতে শরীর যেমন পেশিবহুল হবে তেমনই দেখতে ও লাগবে অসম্ভব সুন্দর দেশের অধিকারি। তাই নিয়মিত খাবের যোগ করুণ কাঁঠালের বীজ। 

 

বলিরেখা দূর করে: মেয়েদের কাছে তাদের চেহারা সবার আগে। কীভাবে তারা তাদের চেহারা কে রাখবে লাবণ্য সেটা ভাবতে থাকেন প্রতিনিয়ত। তাই তাদের জন্য বীজটি হতে পারে অনেক উপকারের। তাই কাঁঠালের বীজের গুঁড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ফেসপ্যাক দুই সপ্তাহ পরপর মুখে লাগালে অসময়ে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করবে। কাঁঠালের বীজে আছে জাদুকরী গুণ, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করে। এতেও ত্বকের সতেজতা বাড়ে।

 

চুলের যত্নে:  কাঁঠালের বীজে থাকা ভিটামিন চুলকে করে ঘন, কালো এবং মজবুত। বড় সমস্যা হল চুলের আগা ফেটে যাওয়া। এই সমস্যার সমাধান দিবে বীজে থাকা ভিটামিন এ। এজন্য খাবারের তালিকায় কাঁঠালের বীজ রাখুন। এতে থাকা প্রোটিন ও আয়রন চুলের জন্য টনিকের কাজ করে।

রক্ত স্বল্পতায়: রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায় কাঁঠালের বীজে থাকায় আয়রন। যা অ্যানিমিয়া তথা রক্তাল্পতা সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলা করে।

 

ত্বকের রোগ সারায়: এটি ত্বকের নানা রকম রোগ সারাতে সাহায্য করবে জাদুর মত।তাই  ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর চুল পেতে নিয়মিত কাঁঠালের বীজ রাখতে পারেন পাতে। কাঁঠালের বীজ আপনার ত্বককে করে তুলবে সজীব ও তরতাজা। দু-একটি বীজ সামান্য দুধ ও মধুতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে, সেটা দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। সেই পেস্ট সারা মুখে লাগিয়ে শুকাতে দিন। তারপর উষ্ণ গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।

 

মানসিক চাপ কমায়: মানসিক চাপ কমাতে চাইলে কাঁঠালের বীজ খুবই উপকারী।  কাঁঠালের বীজ প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসে ঠাসা। যা মস্তিষ্কের ক্যামিকেলের ভারসাম্য বজায় রেখে শরীর ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই নিয়মিত পাতে রাখতে পারেন এই খাবার। 

 

সংক্রমণ রোধে: এখন বর্ষাকাল! এ সময়  বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ বাড়ে। এই বীজে রয়েছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সব উপাদান। অনেকেই হয়তো জানেন না, কাঁঠাল বীজ বিভিন্ন সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে। তাই বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে খেতে পারেন এই জাদুকরী বীজ। 

 

মস্তিষ্ক ও হার্টের সুস্থতায়: প্রতিদিনের খাবারে কাঁঠালের বীজ রাখলে আপনার শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে দিবে এবং আপনার মস্তিষ্ক সুস্থ থাকবে।  এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। কাঁঠালের বীজ হিমোগ্লোবিনের একটি উপাদান। আয়রন সুস্থ রাখবে আপনার মস্তিষ্ক ও হার্টকেও। 

 

সর্বোপরি বলা যায়, কাঁঠালের বীজ হল সকল সমস্যার সমাধান। একের মধ্যে যদি পেয়ে যান সকল সমস্যার সমাধান তাহলে ক্ষতি কি! তাই নিয়মিত খাবারে রাখুন কাঁঠালের এই বীজ এবং সবসময় থাকুন সুস্থ,সুন্দর এবং প্রাণবন্ত।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ