Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুক্র গ্রহে তবে কি আমরা যাচ্ছি?

মহাকাশ প্রেমীদের কাছে ভালো লাগা এবং ভালোবাসার আরেক ঠিকানা বলা যায় শুক্র গ্রহ। ধুসর রঙের এই গ্রহটি বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন সময়ে মুগ্ধ করছে।মঙ্গল গ্রহের পরে বিজ্ঞানীদের এই ধুসর গ্রহটি নিয়ে বিশ্লেষণের শেষ নেই।গ্রহটির পরিবেশ ও ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে ২০২৮ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দু’টি অভিযান পরিচালনা করা হবে।পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশী গ্রহ শুক্র। শুক্রর সঙ্গে পৃথিবীর মিল রয়েছে। কিন্তু এ গ্রহের তাপমাত্রা অনেক বেশি। ২০১৯ সালে এক গবেষণায় এই গ্রহের তাপমাত্রা স্থিতিশীল এবং শত শত বছর আগে সেখানে পানি থাকার কথাও বলা হয়েছিল।

নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেন, “৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শুক্রে কোনও অভিযান চালানো হয়নি। এই অভিযানের মধ্য দিয়ে আমরা এবার গ্রহটিকে খতিয়ে দেখার সুযোগ পাব।”

 

কিন্তু শুক্রর বায়ুমণ্ডল এখন বিষাক্ত হয়ে উঠে এটি মৃতপ্রায় এক গ্রহে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর পরিবেশের তুলনায় ৯০ গুণ বেশি দূষিত হয়ে উঠেছে শুক্রের পরিবেশ। এর তাপমাত্রা এখন ৪৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮৬৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।

সিএনএন জানায়, একটি অভিযান পরিচালনা করা হবে শুক্র গ্রহের পরিবেশ সম্পর্কে জানার জন্য এবং আরেকটি অভিযান পরিচালনা করা হবে গ্রহটির ভূপৃষ্ঠের মানচিত্র তৈরির জন্য।

 

শুক্রে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। ওই অভিযানে পাঠানো নভোযানের নাম ছিল ম্যাগেলান। এরপর থেকে ইউরোপ এবং জাপানের নভোযান গ্রহটির কক্ষপথ পরিভ্রমণ করেছে।

 

সম্প্রতি নাসার তথ্য বরাত থেকে জানা গিয়েছে, শুক্রে যে দুটি অভিযান পরিচালনা করবে তার প্রথম ধাপের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডাভিঞ্চিপ্লাস’। এ অভিযানে গ্রহটির বায়ুমন্ডল সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনার পাশাপাশি এর গঠন ও বিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি বিশ্লেষণ করা হবে, গ্রহটিতে কখনও সাগর ছিল কি না।

 

ডাভিঞ্চিপ্লাস মিশনে গ্রহটির ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যর প্রথম ছবিও পাঠানো হবে। এসব ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মহাদেশগুলোর সঙ্গে এর ভূতাত্ত্বিক গঠনের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখবেন। এর মধ্য দিয়ে গ্রহটিতে টেকটনিক প্লেট আছে কিনা তা জানা সম্ভব হবে।

 

পরবর্তীতে শুক্রে আরেকটি মিশন করবে নাসা।এই মিশনটি অনেকটা সময় সাপেক্ষ হবে। আর শুক্রে নাসার দ্বিতীয় অভিযানটির নাম ‘ভেরিটাস’ মিশন। এই ধাপে শুক্রের ভূমিরূপ বা ভূতাত্ত্বিক অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং বর্তমানে সেখানে কোনও পানির উৎস আছে কিনা বা অতীতে তরল পানির অস্তিত্ব ছিল কিনা তা জানান চেষ্টা করা হবে। এছাড়া, গ্রহটিতে কোনও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত কিংবা ভূমিকম্প ঘটে চলেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।

 

বিজ্ঞানীরা আশা করছে উক্ত  অভিযান গুলো দিয়ে শুক্র সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবে। যার মাধ্যমে  অনেক  উন্মোচিত হতে নতুন কোন তথ্য? কে জানে শুক্রতে হয়তো প্রাণের খোজ পাওয়া যেতে পারে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ