জীবাণুনাশক স্প্রে – এর ক্ষতিকর দিক
পৃথিবীতে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাবের পর থেকে মানুষ ভাইরাস ও জীবাণু থেকে বাঁচার ব্যাপারে সচেতন হয়ে গেছেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতাই পারে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে। তাই করোনা থেকে বাঁচতে জীবাণুনাশক স্প্রের ব্যবহার বেড়েছে মাত্রাতিরিক্তভাবে।
করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে অফিস, আদালত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হচ্ছে এই জীবাণুনাশক স্প্রে। হাঁচি বা কাশির পর চারপাশে ছড়িয়ে দিচ্ছে স্প্রে যাকে আমরা বলি সারফেস স্যানিটাইজার। কিন্তু জীবাণুনাশক স্প্রের অতিরিক্ত ব্যবহার অত্যন্ত ক্ষতিকর। আমরা অনেকেই এই জীবাণুনাশক স্প্রের ক্ষতিকর দিকগুলো জানিনা।
চিকিৎসকরা বলছে, জীবাণুনাশক স্প্রে সুরক্ষার পাশাপাশি ক্ষতি করতে পারে। এমনকি শ্বাসনালীতে নিয়মিতভাবে এই ধরণের স্প্রের প্রবেশ করলে, তা আমাদের সহজে সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতাকেও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই যতদূর সম্ভব সাবধান হয়েই ব্যবহার করা উচিত জীবাণুনাশক স্প্রে।
অন্যদিকে স্যানিটাইজার শুধুমাত্র হাতে ব্যবহার করার জন্যই। যে কারণে নাম, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তবে যদি অতিরিক্ত মাত্রায় হাতেও ব্যবহার করা হয়, তবে তা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। সেক্ষেত্রে হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহারের পর ময়েশ্চারাইজার বা কোনও ক্রিম ব্যবহার করলে ক্ষতি কম হবে।
৭০ শতাংশ আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল থাকে এমন স্যানিটাইজার হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য ভালো। কিন্তু,জড় পদার্থ মানে যেকোনও ধাতু, প্লাস্টিক কাঠ বা কাপড়ের মতো জিনিসকে জীবাণুমুক্ত করতে হলে শুধু আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহলে থাকলে হবে না,তাতে থাকতে হবে ১ শতাংশ হাইড্রো ক্লোরাইড সলিউশনও। হাইড্রো ক্লোরাইড সলিউশন আছে এমন যেকোনও জীবাণুনাশক স্প্রে এই ধরণের জিনিসকে জীবাণুমুক্ত করতে পারে।
জীবাণুনাশক স্প্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার করলে হাঁচি,কাশি ,নিঃশ্বাস নেওয়ার কষ্ট হতে পারে। বাতাসের মাধ্যমে জিভ, মুখ বা শ্বাসনালীতে প্রবেশ করলে তাতে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিও হতে পারে। জীবাণুনাশক স্প্রে তে থাকা ব্লিচ বা কোয়াট যদি নিয়মিত ভাবে এই সুরক্ষা আস্তরণের গায়ে লাগতে শুরু করে, তাহলে আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর এই আস্তরণের ক্ষতি হলে বাড়বে আমাদের রোগ সংক্রমণের প্রবণতাও।
তাই এই ক্ষতিকর জীবাণুনাশক স্প্রের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।