Skip to content

১লা এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ১৮ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের ইতিহাস

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সারা বিশ্ব জুড়ে এই দিনটি মহা সমারোহে পালন করা হয়। লিঙ্গ সমতা সম্পর্কে সমাজকে সচেতন করতেই এই দিনের সূচনা। সমাজের সব স্তরে নারীর সাফল্য ও জয়গান গাওয়ার দিন নারী দিবস। 

 

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুরু ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ মজুরি-বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং কর্মক্ষেত্রে বৈরী পরিবেশের প্রতিবাদ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুতা কারখানার একদল শ্রমজীবী নারী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর দমন-পীড়ন চালায় মালিকপক্ষ। 

 

নানা ঘটনার পর ১৯০৮ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ও রাজনীতিবিদ ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে প্রথম নারী সম্মেলন করা হয়। ১৯০৯ সালে প্রথম পালন করা হয়  আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ওই বছরেই প্রথম ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকায় নারী দিবস পালন করা হয়। 

 

আমেরিকার সোশ্যালিস্ট পার্টি পোশাক তৈরির শ্রমিকদের সম্মান জানাতে ১৯০৮ সালে ধর্মঘট ডেকেছিল। তাদের প্রতি সম্মান জানাতে ২৮ ফেব্রুয়ারিকে বেছে নেয়া হয়েছিল।  ১৯০৯ সালে নিউইয়র্কের সোশ্যালিস্ট পার্টি রাজনৈতিকভাবে প্রথম নারী দিবস পালন করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়ার নারী শ্রমিকরা ২৮ ফেব্রুয়ারি নারী দিবস উদযাপনের সময় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এর কয়েক বছর পর ৮ মার্চ ইউরোপের নারীরা শান্তিরক্ষা কমিটির কর্মীদের সমর্থনে এক সমাবেশের আয়োজন করেন।  ১৯১৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ৮ মার্চ জাতীয় ছুটি ঘোষণা করে।

 

পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ দিনটিকে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রদের নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিবস হিসাবে ৮ মার্চকে ঘোষণা করার আহ্বান জানানো হয়।

 

কেন পালিত হয়

 

বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাঁদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে মহিলাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবেই পালন করা হয়।

 

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি নানা আনুষ্ঠানিকতার সাথে উদযাপন করা হয়।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ