বুফে খেতে যাওয়ার প্রস্তুতি
ভোজন রসিক মানুষরা বরাবরই নানান স্বাদের খাবারের প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে থাকে৷ আর হরেকরকম খাবারের মেলা শহরের অলিগলিতে থাকা রেস্টুরেন্ট গুলো রোজই করে থাকে। কথা সেটা নয়, কথা হচ্ছে বুফে তো খেতে গেলেন কব্জি ডুবিয়ে। কিন্তু এতসব রঙিন খাবার সাজিয়ে রাখা দেখেই অনেকে কনফিউজড হয়ে যান কোনটা রেখে কোনটা খাবেন। অনেকের আবার উত্তেজনায় হকচকিয়ে যান। কারো কারো হয়তো এত খাবার দেখে মনে হতেই পারে আজ ফাটিয়ে সাঁটাবো। কিন্তু খেতে গিয়ে হল সব উল্টো। খেতেই পারলেন না। তখন আফসোসের আর অন্ত থাকে না। তবে বুফে খেতে যাওয়ার আগে বেশ কিছু প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারেন৷ যেগুলো আপনাকে সাহায্য করবে মনমতো সাঁটিয়ে কব্জি ডুবিয়ে খেতে।
১। মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে থাকুন। সেটা হতে পারে এক মাস থেকে কয়েক মাস অব্দি। সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে খেতে যান। খাবারের বিভিন্ন ভিডিও দেখুন, বিদেশি বুফে খাওয়ার ভিডিও গুলো দেখতে পারেন। খাবার রান্না বা প্রস্তুত প্রণালি পুরোটাই দেখতে পারেন। এতে একটা আগ্রাসী মনোভাব তৈরি হবে, যা মানসিক প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।
২। আশেপাশের বুফে গুলোর খোঁজ খবর নিতে পারেন। কোথায় কি কি খাবার থাকে সে সম্পর্কে জানুন। পছন্দের খাবার গুলো সিলেক্ট করুন। সেগুলোর ব্লগ বা রিভিউ ভিডিও দেখুন। রেসিপিও দেখতে পারেন।
৩। খাওয়া নিয়ে কারোর সঙ্গে তেমন কোনো আলাপ করবেন না। কোনোরকম তর্ক যুক্তি বা চ্যালেঞ্জে যাবেন না। খাওয়ার সময় মনঃসংযোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর বুফে খাওয়ার ক্ষেত্রে তা আরো বেশি প্রয়োজন। কারণ এত এত লোকের সামনে প্রচুর খাবার খেতে হবে। তাই পুরো মনোযোগ খাবারে দিন।
৪। কোনোভাবেই নার্ভাস হওয়া যাবে না। মনে রাখবেন নার্ভাস হয়ে গেলেই গোল আপনার হাত থেকে বেরিয়ে যাবে।
৫। বুফে খেতে যাওয়ার আগে কমপক্ষে তিনদিন ডায়েট মেনে চলতে পারেন। তিনদিনের ডায়েটে সকালের নাস্তা বাদ দিন, দুপুরের খাবার অর্ধেক করে ফেলুন, রাতেও না খাওয়াই ভালো। এতে খাওয়ার জন্য একটা আগ্রহ তৈরি হবে। যেটা বুফের জন্য সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে।
আর হ্যাঁ বুফে যাওয়ার আগে ডিসকাউন্ট অফার দেখে যাবেন। এতে আগ্রহ আরেকটু বৃদ্ধি পাবে।