কতক্ষণ হাঁটবেন!
সুস্থ আর ফিট থাকতে কে না চায়? সবাই সুস্থ আর ফিট থাকতে চাইলেও এর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজগুলোই করার সময় করে উঠতে পারেন না। এর মধ্যে একটি হলো নিয়মিত হাঁটা। সেই সঙ্গে শরীরচর্চা। সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন সকালে হাঁটতে হবে। শরীরচর্চা না করার কারণে শরীরে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন রোগ।
ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ, আথ্র্রাইটিস, ওবেসিটি বা স্থুলতা, মাংসপেশির শক্তি কমে যাওয়া, অষ্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ভঙ্গুরতা দেখা দেয়। নিয়মিত হাঁটলে শরীর সুস্থ থাকবে। তাই সকালে নিয়মিত হাঁটতে হবে। নিয়মিত হাঁটা শরীরের অনেক রোগ-বালাই দূর করে, শরীর সতেজ ও চাঙা রাখে। এছাড়া আপনার ওজনও কমবে। তবে অসুস্থ থাকলে জোর করে না হাঁটতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অনেকে মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কখন হাঁটবেন, কত সময় হাঁটবেন, হাঁটার গতি কেমন হবে ইত্যাদি।
কখন হাঁটবেন?
২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনি হাঁটার জন্য সময় বের করে নিতে পারেন। তবে হাঁটার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় সকাল আর বিকেল। তবে হার্টের রোগীরা কখনও সকালে হাঁটবেন না। কারণ হার্টের রোগীরা সকালে হাঁটলে হার্ট অ্যাটক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কত সময় ধরে হাঁটবেন?
প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটুন। এছাড়া যদি হাঁটতে ভালো লাগে তবে হাঁটার সময়টা ১ ঘণ্টা পর্যন্তও হতে পারে। এছাড়া যারা বেশি হাঁটতে পারে না তারা ওই ৪০ মিনিট হাঁটার সময়ে ১০ মিনিটের বিরতি দিতে পারেন। পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে ১৫০ মিনিট হাঁটলেও আপনি সুস্থ থাকবেন। তবে কখনই ৩০ মিনিটের কম হাঁটা উচিত হবে না।
হাঁটার গতি কেমন হবে?
হাঁটার সময় অনেকে বুঝতে পারেন না যে, হাঁটার গতি কেমন হবে। তবে হাঁটার জন্য তেমন নির্দিষ্ট কোনো গতি নেই। প্রথমে ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করার পর আস্তে আস্তে গতি বাড়াতে হবে। শরীরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যতটুকু পারা যায় গতি বাড়াতে হবে। ঘুম থেকে উঠেই হাঁটবেন না অনেকে ঘুম থেকে উঠেই হাঁটতে শুরু করেন। এটি মোটেই ঠিক নয়। ঘুম থেকে ওঠার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর হাঁটতে বের হওয়া উচিত। কারও যদি সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকে তাহলে ঘুম থেকে একটু আগে ওঠার অভ্যাস করুন।
জোর করে হাঁটা ঠিক নয়
শরীর খারাপ থাকলে কখনো জোর করে হাঁটা উচিত নয়। জোর করে হাঁটবেন না।
লেখকঃ ডা. এম ইয়াছিন আলী
ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালটেন্ট,
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা।