সম্পর্কের শুরু যেভাবে
মনের মতো পাত্র-পাত্রী খুঁজে পাওয়ার সমস্যা সেই প্রাচীনকাল থেকেই। বর্তমানেও এই সমস্যার কোনো সহজ সমাধান করা সম্ভব হয়নি। পাত্র-পাত্রীর বংশমর্যাদা, যোগ্যতা, পারিবারিক-অর্থনৈতিক অবস্থা, মূল্যবোধ, সর্বোপরি পাত্রীর গায়ের রং, সৌন্দর্য মিলিয়ে, দুইপক্ষকে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করা খুবই জটিল কাজ।
বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে বিবাহ বন্ধনের পরেও পারিবারিক কোলাহল, অশান্তি, মানসিকভাবে অশান্তি ও বিবাহ ভাঙনের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে । যার প্রভাবে বিবাহের পর সন্তানের উপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করছে ।
আধুনিক যুগে এরেঞ্জড ম্যারেজের জনপ্রিয়তা এশিয়ান ছেলেমেয়ের মধ্যে বেশি।
এক জরিপে দেখা গেছে, এখনও আমাদের সমাজের ৬৫% মনে করেন এরেঞ্জড ম্যারেজে দাম্পত্য জীবন সুখী হয়।
এরেঞ্জড ম্যারেজের একদিকে সুবিধা হলো, এতে দুটি পরিবারের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ হয়, পারিবারিক আগ্রহ থাকে বেশি। অন্যদিকে পাত্র-পাত্রী নিজেদের মধ্যে কথা বলে, একে অপরকে জানার চেষ্টা করে । পারিবারিক বা ছেলে-মেয়ের মধ্যে বোঝাপড়ার ঠিক থাকলে তবেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
তাছাড়া মানসিক বা শারীরিক কোনো সমস্যা থাকলে খোঁজ-খবর নেওয়ার সুযোগ থাকে। বিয়ের ক্ষেত্রে পারিবারিক সাপোর্ট, সামাজিক সাপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিটি মেয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে নতুন সংসারে যায় । তাই, আমাদের পরিবারগুলোরও অনেক অবদান আছে নতুন দম্পতির জীবনে।
বিবাহ ভাঙনের ফলে যুব সমাজের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে, যা আগামী দিনে আরও প্রকট আকার ধারণ করতে যাচ্ছে।
সম্পতি, ছেলেমেয়েরা খুবই আত্মসচেতন, নিজেদের চাওয়াপাওয়া নিয়ে। নিজেদের পছন্দের ও মনের মতো বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী খুঁজে পেতে, তাদের নানাধরনের অনিশ্চয়তার ভুগচ্ছে।
নিজেদের যোগ্যতা, মূল্যবোধ, চাওয়া-পাওয়া, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, স্বপ্ন, ভালো লাগা নিয়ে আলোচনা করুন। ভালো করে খোঁজ খবর নিয়ে সম্পর্কে জড়ানোই যুক্তিসঙ্গত।
হুরাইরা শিশির
প্রতিষ্ঠাতা
বাটারফ্লাই ম্যাট্রিমনিয়াল