Skip to content

গুজবের কারনে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা

গুজবের কারনে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা

বলিউডের আলোচিত তারকা দম্পতি অভিষেক ও ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে নানা সময়ে নানা ধরনের গুজব ডালপালা মেলেছে। তবে তখন নীরব ছিলেন অভিষেক। গণমাধ্যমে কখনো এসব নিয়ে মুখ খুলেননি এই বলিউড অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গুজব নিয়ে কথা বলেছেন অভিষেক। তার ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে ট্রল ও গুজব কীভাবে তাকে ও তার পরিবারকে প্রভাবিত করেছে তা বলেন তিনি।

অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ২০০৭ সালে বিয়ে করেন। ২০১১ সালে তাদের ঘরে আসে কন্যা সন্তান। তবে এই দম্পতিকে প্রায়ই বিবাহবিচ্ছেদের গুজব নিয়ে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হতে হয়েছে। কিন্তু তারা বছরের পর বছর ধরে নীরব থেকেছেন। সম্প্রতি অভিষেক এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন ও জানিয়েছেন কীভাবে এটি তার জীবনে প্রভাব ফেলেছে।

ইটাইমসকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, এসব গুজব আগে কেবল তার ওপর প্রভাব ফেলত। কিন্তু এখন এগুলো তার পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলছে, যা বিরক্তিকর।

অভিষেক স্পষ্ট করে বলেন, এসব গুজব অর্থহীন। এগুলো আমাদের পরিবারকে এক ধরনের বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে। সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক খবরের ভালো পাঠক। এ ধরনের খবর নিয়ে নানান গল্প বানায় মানুষ।

তিনি বলেন, ‘আমি নিজের জন্য জীবনযাপন করি। তাই এ ব্যাপারে কারো কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নই।’

অভিনেতা বলেন, ‘আগে আমাকে নিয়ে যা বলা হতো তা আমাকে প্রভাবিত করত না। আজকে আমার পরিবার আছে, এটা খুবই দুঃখজনক। আমি কিছু স্পষ্ট করলেও মানুষ তা ভিন্ন খাতে নেবে। কারণ নেতিবাচক খবর বিক্রি হয়। আপনি বা আমি নই। আপনি আমার জীবনযাপন করেন না। আমি যাদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য, তাদের কাছে আপনি জবাবদিহি করতে বাধ্য নন।’

একই সাক্ষাত্কারে অভিষেক জানান, গুজবে তিনি একা আক্রান্ত নন, পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত। তিনি একটি ঘটনার কথা বলেন। সেই ঘটনার সঙ্গে তার এক বন্ধু জড়িত ছিল। তিনি ওই বন্ধুর মুখের ওপর কথা বলতে বলেছিলেন।

অভিনেতা বলেন, কম্পিউটার স্ক্রিনে গিয়ে কাউকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলা সহজ। কিন্তু এই মানুষগুলো তার মুখের ওপর বলার সাহস পাবে না।

তিনি জানান, কাউকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে তা ওই মানুষটার ওপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা কেউ ভাবে না।

কাজের দিক দিয়ে অভিষেক বচ্চন ‘কালীধর লাপাতা’ মুক্তি নিয়ে ব্যস্ত আছেন। আগামী ৪ জুলাই থেকে জি ফাইভে স্ট্রিমিং হবে। এছাড়া শাহরুখ খানের আগামী সিনেমা ‘কিং’ এ দেখা যাবে তাকে।