Skip to content

বাবা মানে কি?- বয়স ভেদে বদলে যায় ব্যাখ্যা

বাবা মানে কি?- বয়স ভেদে বদলে যায় ব্যাখ্যা

“বাবা মানে কী?”—এই ছোট্ট প্রশ্নটার উত্তর বয়সভেদে যেন বদলে যায়। তবে একটি বিষয়ই অপরিবর্তিত থাকে—ভালোবাসা। শিশুকাল থেকে কৈশোর, তারপর যৌবনের পথে হাঁটতে হাঁটতে বাবাকে দেখার চোখ যেমন বদলায়, তেমনি বদলায় তাঁর প্রতি অনুভূতির প্রকাশও।

শিশুর চোখে বাবা: সুপার হিরো

পাঁচ বছর বয়সী সায়রা বলে, “আমার বাবা সব পারে! ওনি খুব জোরে হুইসেল দিতে পারেন, কেউ ভয় পায়!”শিশুদের চোখে বাবা হলেন অলৌকিক এক রক্ষাকর্তা—যিনি রাতে ভূত তাড়ান, পাখির গল্প বলেন, আর হাত ধরে পার্কে নিয়ে যান। বাবার কাঁধে চড়া যেন একটা রাজ্য জয়ের অনুভূতি। সেই বয়সে “বাবা মানে” হয় সব সমস্যার একমাত্র সমাধান।

কিশোরের চোখে বাবা: নির্দেশনা আর দ্বন্দ্বের মাঝে ভালোবাসা

১৩ বছর বয়সী রাশেদ জানায়, “বাবা খুব রেগে যান, আবার পরে নিজে এসে আদরও করেন।”কিশোর বয়স মানেই টানাপড়েনের সময়। তখন বাবাকে অনেক সময় কঠোর অভিভাবক মনে হয়, যিনি মোবাইল দিতে চান না, বাইরে যেতে মানা করেন। কিন্তু ওই একই মানুষ রাতে সন্তানের রেজাল্ট খারাপ হলে চুপিচুপি ফি দেন প্রাইভেট টিচারে। দ্বন্দ্বের মাঝেও থাকে নির্ভরতা—কিশোররা সেটি বুঝতে শুরু করে।

তরুণদের চোখে বাবা: ছায়ার মতো নির্ভরতা

বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মীম বলে, “আমার অনেক কিছুই মায়ের সঙ্গে শেয়ার করি, কিন্তু আমার সব টেনশন কমে বাবার একটা ফোনে।”যৌবনের পথে দাঁড়িয়ে তরুণরা বুঝতে শেখে বাবার অর্থ—দায়িত্ব, আত্মত্যাগ, আর প্রেরণা। বাবার কণ্ঠে ছাপা পড়ে ক্লান্তি, আর চোখে লুকানো থাকে গর্ব। অনেক তরুণই বলেন—বাবা একাই একটা প্রতিষ্ঠান, যিনি নিজের চাওয়া ভুলে সন্তানের স্বপ্ন রচনা করেন।

বয়স যাই হোক, জীবনের প্রতিটি পর্বে বাবার সংজ্ঞা নতুনভাবে ধরা দেয়। তবে একটি সত্য থেকে যায় চিরন্তন—বাবা মানে ভরসা, নিঃশর্ত ভালোবাসা, আর নীরব ত্যাগের নাম।

এই বাবা দিবসে আমাদের দরকার বাবাকে শুধুই শ্রদ্ধা নয়, বরং বোঝার চেষ্টা করা—যিনি হয়তো আজও জানতে চান, “তোর সব ঠিক আছে তো?”