Skip to content

Moon Pioneer মিশনে অংশ নিলেন বাংলাদেশি রুথবা

Moon Pioneer মিশনে অংশ নিলেন বাংলাদেশি রুথবা

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের এক উজ্জ্বল নাম এখন রুথবা ইয়াসমিন—যিনি শুধু একজন প্রকৌশলী নন, বরং মহাকাশ জয়ের লক্ষ্যে পথচলা এক অনন্য সাহসিনী। ছোটবেলায় ঢাকার আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখা স্বপ্ন আজ তার বাস্তব অভিযাত্রায় রূপ নিচ্ছে। অল-উইমেন ক্রুর অংশ হিসেবে তিনি সম্প্রতি স্পেস ন্যাশনের “Moon Pioneer Mission”-এর অধীনে উন্নত মহাকাশচারী প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন।

এই অভিজ্ঞানমূলক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে রুথবা কাজ করেছেন EVA (Extravehicular Activity) স্পেশালিস্ট হিসেবে—একটি অত্যন্ত জটিল ও দায়িত্বশীল ভূমিকা। EVA স্পেশালিস্টরা মহাকাশযানের বাইরের পরিবেশে কাজ করেন, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপই জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন হতে পারে। চন্দ্রাভিযানের সিমুলেশনে রুথবার দক্ষতা এবং সংকটকালে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা প্রশিক্ষকদের নজর কাড়ে।

রুথবার শৈশব কেটেছে ঢাকার এক সাধারণ পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই মহাকাশবিজ্ঞান এবং নভোচারীদের গল্প তাকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করত। বই আর টেলিস্কোপই ছিল তার প্রথম সঙ্গী। পরবর্তীতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তার একাডেমিক যাত্রা তাকে আরও প্রশিক্ষিত ও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। তিনি নিজেকে শুধু একজন বিজ্ঞান শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তোলেননি, বরং নিজেকে প্রস্তুত করেছেন বাস্তব চন্দ্রাভিযানের চ্যালেঞ্জের জন্য।

রুথবা শুধু নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন না, বরং বাংলাদেশের নারীদের জন্যও নতুন দ্বার খুলে দিচ্ছেন। মহাকাশ জগতে নারীদের অংশগ্রহণ এখনও সীমিত। এমন প্রেক্ষাপটে রুথবার মতো একজন বাংলাদেশি নারীর অংশগ্রহণ ও সাফল্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে নিঃসন্দেহে।

রুথবার পরবর্তী স্বপ্ন—চাঁদের মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা গাঁথা। হতে চান তিনিই প্রথম বাংলাদেশি যিনি চাঁদের বুকে পা রাখবেন। এটি নিছক কল্পনা নয়, বরং তার অর্জন, প্রস্তুতি এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এই স্বপ্নকে দিন দিন বাস্তবতার আরও কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে।