বৈষম্যবিরোধী নেত্রীকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮, ওসি প্রত্যাহার

ফরিদপুরের নগরকান্দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী বৈশাখী ইসলাম বর্ষা (১৮) ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় নগরকান্দা থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (২ জুন) পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে শনিবার এসব মামলা করা হয়।
একই দিনে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফর আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে নগরকান্দা থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
গত শুক্রবার নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ভবুকদিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক বৈশাখী ইসলাম ওরফে বৃষ্টির ওপর হামলা হয়। ওই হামলা এবং পরবর্তী ঘটনার প্রেক্ষাপটে ওসি প্রত্যাহার করা হলো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. শামসুল আজম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রশাসনিক কারণে নগরকান্দা থানার ওসি মো. সফর আলীকে ফরিদপুর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
বৈশাখী ইসলাম বর্ষা নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ভবুকদিয়া গ্রামের সাবু শেখের মেয়ে। তিনি জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম-সদস্যসচিব ও সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী।
থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলায় বাদী হয়েছেন বৈশাখী ইসলাম বর্ষা। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে থানা পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছে।
এসব মামলায় গ্রেপ্তাররা হলেন, ওই এলাকার আরিফ হোসেন (২৪), শরিফ শেখ (২০) ও সজিব শেখ (২৩)। গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুই জন কিশোর রয়েছে এবং আরও তিনজনের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বরত) আসিফ ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় পৃথক তিনটি মামলার মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় ৪ জন, ঘরবাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ৬ জন এবং পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলায় আসামির সংখ্যা ৩৪ জন। সর্বশেষ তিন মামলায় সোমবার পর্যন্ত মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।