Skip to content

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৩

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৩

মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা উদ্যান আবাসিক এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছে। পরে  তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধরা হলেন ফাতেমা (৪০), তার মেয়ে সাদিয়া (২০) এবং সাদিয়ার ১১ মাস বয়সী শিশু ইসরাত।

৭ এপ্রিল, বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ভোর ৪টায় মোহাম্মদপুর থেকে দুই নারী ও এক শিশু দগ্ধ অবস্থায় জরুরি বিভাগ এসেছে। এদের মধ্যে ফাতেমার শরীরের ৭ শতাংশ, সাদিয়ার শরীরের ৭ শতাংশ এবং শিশু ইসরাতের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। সবচেয়ে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ১১ মাস বয়সের শিশু ইসরাত।

দগ্ধ ফাতেমার বোন জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ওই বাসটিতে ফাতেমা, তার মেয়ে, মেয়ের জামাই এবং নাতনি নিয়ে থাকেন। ফাতেমা গ্রিন রোডে একটি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করেন। মঙ্গলবার রাতে বাসাটিতে তারা তিনজনেই ছিলেন। সাদিয়ার স্বামী গাড়িচালক। তিনি বাসার বাইরে ছিলেন। ভোরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে ফোনে তিনি খবর পান ওই বাসায় আগুন লেগেছে। তখন সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে দেখেন তাদের গাড়িতে তোলা হচ্ছে। তখন দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি।

জান্নাতুল ফেরদৌস আরও জানান, চলতি মাসের ১ তারিখেই ওই বাসায় ভাড়া উঠেছিলেন তার বোন এবং ভাগ্নি। মঙ্গলবার রান্নার জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে এনেছিলেন। ভোররাতে যখন তারা সবাই ঘুমিয়েছিলে। হঠাৎ রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তারা তিনজনই দগ্ধ হন। কীভাবে গ্যাস  সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলো সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। তবে তার ধারণা, গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।