কেন হয় পূর্ণিমা ও অমাবস্যা!
চাঁদ সবসময়ই পৃথিবীর মানুষের কাছে একদিকে যেমন প্রেমের বস্তু, তেমনি বিস্ময়করও বটে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে অনবরত। যদিও পৃথিবী থেকে চাঁদের কেবল এক পৃষ্ঠই দেখা যায়, অপর পৃষ্ঠ দেখা যায় না। কারণ অপর পৃষ্ঠটি চাঁদের ঘূর্ণনজনিত কারণে কখনো পৃথিবীমুখো হয় না। এই পৃষ্ঠকে বলা হয় চাঁদের ‘ডার্ক সাইড’। বাস্তবে অন্ধকার নয়, বরং পৃথিবী থেকে দেখা যায় না তাই এমন নামকরণ।
তো বিস্ময়কর চাঁদের ডার্ক সাইড নিয়ে কথা বৃদ্ধি না করে মূল কথায় আসা যাক। চাঁদের আলো আমাদের রাতের আলো দিয়ে থাকে। চাঁদের পরিবর্তনশীল অবস্থা আমাদের সময় নির্ধারণে সাহায্য করে। এই পরিবর্তনশীল অবস্থাগুলি হল পূর্ণিমা এবং অমাবস্যা। কিন্তু কেন এই পূর্ণিমা এবং অমাবস্যা ঘটে, এটি বোঝার জন্য আমাদের জ্যোতির্বিদ্যার বিষয়টি বোঝা প্রয়োজন।
পূর্ণিমা হলো সংস্কৃত শব্দ। পূর্ণিমার দিনটি হল প্রতি মাসে সেই দিনটি (তিথি) যখন পূর্ণিমা ঘটে এবং প্রতি মাসে দুটি চন্দ্র পাক্ষিকের (পক্ষ) মধ্যে বিভাজন চিহ্নিত করে এবং চাঁদ ঠিক একটি সরলরেখায় সারিবদ্ধ থাকে, যাকে সিজিজি বলা হয়, সূর্য এবং পৃথিবীর সাথে। পূর্ণিমাকে চাঁদের চারটি প্রাথমিক পর্যায়ের তৃতীয় বলে মনে করা হয়; অন্য তিনটি পর্যায় হল অমাবস্যা, প্রথম ত্রৈমাসিক চাঁদ এবং তৃতীয় চতুর্থাংশের চাঁদ। পূর্ণিমা ১০০% আলোকসজ্জা দেখায়, উচ্চ জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি করে এবং এটি চন্দ্রগ্রহণের সাথে সম্পর্কযুক্ত। পূর্ণিমা চন্দ্রের একটি কলা। এটি তখনই ঘটে যখন চাঁদ, পৃথিবীর যে পাশে সূর্য অবস্থিত তার ঠিক উল্টো পাশে অবস্থান করে। পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান চাঁদ এসময় সূর্য দ্বারা পূর্ণভাবে আলোকিত হয় যার ফলে একে একটি পূর্ণ গোলাকার চাকতি রূপে দেখা যায়। তবে এসময়ও প্রকৃতপক্ষে চাঁদের অর্ধেক অংশই আলোকিত হয় কারণ উল্টো দিকটি অনালোকিতই থেকে যায়। জ্যোতির্বিদ্যা অনুসারে, অমাবস্যা হচ্ছে চন্দ্রকলার প্রথম ধাপ। এটি মূলত সেই সময় যখন চাঁদ ও সূর্য একই বরাবর থাকে। ফলে, পৃথিবী থেকে চাঁদকে