Skip to content

বৈশাখের রঙে রঙিন ইউসিবি বৈশাখী ফেস্টিভ্যাল

বৈশাখের রঙে রঙিন ইউসিবি বৈশাখী ফেস্টিভ্যাল

নতুন বছর মানেই নতুন সাজ, নতুন উৎসব। আর এই বৈশাখে সেই উৎসবের রঙ আরও চওড়া করেছে ‘ইউসিবি বৈশাখী ফেস্টিভ্যাল’। ঢাকার গুলশানে বে-এজওয়াটার গ্যালারিতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী এই বর্ণিল আয়োজন। চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।

প্রদর্শনী, ফ্যাশন শো আর লোকগানের ফিউশনে ভরপুর এই আয়োজন যেন বাংলা সংস্কৃতি, ফ্যাশন আর সৃজনশীলতার এক প্রাণবন্ত মিলনমেলা।

উৎসবের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “শিল্প আমাদের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। আগে যেমন শাড়িতে ফুল-পাখির নকশা দেখা যেত, এখন দেখা যায় ক্রিকেট ব্যাট বা মোবাইল ফোনের মতো আধুনিক জীবনের ছাপও।”

এই প্রদর্শনীটি মূলত একটি একক আয়োজন। এখানে উঠে এসেছে ডিজাইনার মাহিন খানের দেশীয় বুনন, এমব্রয়ডারি আর সুচিশিল্পের মনোমুগ্ধকর সংমিশ্রণ। সিল্কের কাপড় দিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জমকালো পোশাক, যা ঐতিহ্য আর আধুনিকতার সেতুবন্ধন তৈরি করেছে।

আয়োজনটির কিউরেটর এবং ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি শৈবাল সাহা বলেন, “এটি শুধুই শাড়ির প্রদর্শনী নয়, বরং ছয় গজ কাপড়ের ওপর শিল্পের প্রকাশ।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জের তাঁতিদের হাতে তৈরি সিল্কের শাড়ি, জামালপুরের নারীদের সুচিকর্ম, রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী মোটিফ সব মিলিয়ে এই আয়োজন যেন বাংলার শৈল্পিক ঐতিহ্যের এক সংরক্ষিত চিত্র।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুইর আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের ফ্যাশন ডিজাইন প্রতিষ্ঠানগুলো একদিন ফ্রান্সের নামকরা ফ্যাশন স্কুলগুলোর সঙ্গে কাজ করবে। তিনি বলেন, “ফ্যাশনের রাজধানী হিসেবে ফ্রান্স সবসময়ই নতুন সম্ভাবনাকে স্বাগত জানায়।”

মাহিন খান জানান, “দেশীয় কাপড় আবার ফিরে আসছে, তবে সেটি আধুনিক ডিজাইনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে।” তাঁর লক্ষ্য, তরুণ প্রজন্মকে হাতে তৈরি পোশাকের প্রতি আগ্রহী করে তোলা এবং ‘স্লো ফ্যাশন’ সম্পর্কে সচেতন করা।

– ১৮ এপ্রিল: প্রদর্শনী উদ্বোধন ও সন্ধ্যায় আলোচনা।

– ১৯ এপ্রিল: বিকেলে লোকগানের ফিউশন পরিবেশনা।

– ২০ এপ্রিল: সন্ধ্যায় জমকালো ফ্যাশন শো।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। এই উৎসবের টাইটেল স্পনসর করেছেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), পৃষ্ঠপোষকতায় করছে মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও সহযোগিতায় করছে বার্জার।