Skip to content

খাদ্য ও পুষ্টির দিকে নজর রাখছে এআই

খাদ্য ও পুষ্টির দিকে নজর রাখছে এআই

ধীরে ধীরে এআই প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ছে। এবার খাদ্য, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের উপরেও নজর রাখতে এআই ডিভাইস সৃষ্টির কাজ চলছে৷ এমন প্রয়োগের বিভিন্ন দিক জেনে রাখা ভালো।

হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা কত সহজ হতে পারে? কিন্তু সেটা কি বাস্তবে সত্যি ঘটছে? এ ক্ষেত্রে এআই হয়তো সাহায্য করতে পারে৷ খুব শীঘ্রই এই এআই খাদ্য স্ক্যান করে তার পুষ্টির তালিকা তৈরি করতে পারবে৷ যারা আরো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে চায়, তাদের সেই তথ্য কাজে লাগবে৷ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে সেবাস্টিয়ান সিমার মেন করেন, ‘‘নিজের খাবার সম্পর্কে তথ্য পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ নিয়মিত ভিত্তিতে কী খাওয়া হচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষই সে বিষয়ে সচেতন নন। তারা দুই ঘণ্টা আগে প্রাতরাশ সেরে হয়তো খেয়ালই করেন নি যে সেই মাফিন বা প্যানকেকে কত ক্যালোরি ছিল৷ সারা দিন ধরে নিয়মিত ভিত্তিতে আপডেট পেতে থাকলে তাঁরা নিজেদের জীবনযাত্রার অনেক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হবেন বলে আমি নিশ্চিত।”

‘হেলদি ডায়েট’-এর উপকরণ সম্পর্কে জানার অনেক উপায় আছে৷ কিন্তু এআই-এর সঙ্গে কথা বলে কি সত্যি লাভ হবে? যেমন হ্যান্ডস ফ্রি এআই ‘পিন’, যা চালাতে স্মার্টফোনেরও প্রয়োজন হয় না৷ সেবাস্টিয়ান সিমার বলেন, ‘‘আজ আমাদের রোগীদের প্রধান বাধা হলো, স্মার্টফোন ইত্যাদি ডিভাইস থাকলেও আমাদের পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে আদানপ্রদান রেকর্ড করার ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত৷”

খাবার মাত্রাতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর বা তাতে অ্যালার্জিন থাকলে এআই ডিভাইস ব্যবহারকারীকে সতর্ক করতে পারে৷ ভবিষ্যতে সেটি আপনার খাদ্যগ্রহণের উপর নজর রেখে পুষ্টির হিসেব রাখতে পারবে৷ তবে সেই ডিভাইস সত্যি কতটা কার্যকর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷

বন বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্ডিয়াক সেন্টারে প্রতিদিন ক্যালসিফাইড হার্ট ভালভ রোগীদের ভর্তি করা হয়৷ শুধু বয়স ও জেনেটিক্সের কারণে নয়, যথেষ্ট পুষ্টির অভাব ও কম ব্যায়ামের কারণেও এমনটা ঘটতে পারে৷ চিকিৎসা না করালে এই রোগ মৃত্যুরও কারণ হতে পারে৷

রোগ আগেভাগে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এআই-এর গুরুত্ব বেড়ে চলেছে৷ যেমন ইমপ্লান্ট করা ডিফাইব্রিলেটর প্রতিদিন সরাসরি হাসপাতালে তথ্য পাঠাতে পারে৷ কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে এআই সতর্ক করে দেবে৷ পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে এআই-সমর্থিত তথ্য অন্যভাবেও সাহায্য করতে পারে৷ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সিমার মনে করেন, ‘‘বাড়তি তথ্যের কারণে রোগী ও ডাক্তারের মধ্যে সংলাপ আরো নিবিড় হয়ে উঠবে৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতে রোগীর প্রতি আমাদের পরামর্শও স্পষ্ট হবে৷”

তবে এ ধরনের সব অ্যাপ্লিকেশনের মতো এ ক্ষেত্রেও তথ্যের সুরক্ষার বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷ নির্মাতারা গ্রাহকদের আশ্বাস দিয়ে বলছেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছুই রেকর্ড করা হবে না এবং সেই তথ্য বাইরে কাউকে বিক্রি করা হবে না৷ কিন্তু ক্লাউডে তথ্য রাখার কারণে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে, কারণ সেই তথ্যের অপব্যবহারের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷

তাই এমনভাবে এআই ব্যবহার করার সময় সবাইকে তথ্য পাঠানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে৷ মনে সংশয় দেখা দিলে মাঝেমধ্যে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

অনন্যা/এআই