বাথরুমের গিজার ঠিক রাখবেন যেভাবে
গোসলের সময় ঠান্ডা পানির কথা ভাবলেই সকলের গায়ে জ্বর আসে। শুরু হয় পানি গরম করার ঝক্কি। আর গ্যাসে পানি গরম করা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। আর এই সময়েই মুশকিল। আসান হলো গিজার অথবা ইলেক্ট্রিক ওয়াটার হিটার। এর সাহায্য খুব সহজে এবং কম সময়ে পানি গরম করে নেওয়া যায়। বাজারে এখন নানান আকারের এবং দামের গিজার পাওয়া যায়। সাধারণত লিটার ভেদেই এর মূল্য নির্ধারিত হয়। গ্যাস অথবা ইলেক্ট্রিক, বেছে নিতে পারেন যে-কোনো ধরনের ওয়াটার হিটার। যদিও বাড়ি বা ফ্ল্যাটে ইলেক্ট্রিকগিজারের ব্যবহারই বেশি দেখা যায়। গিজার যেহেতু একটি ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স, তাই কেনার সময় অবশ্যই এর সুরক্ষা সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে নিন। নিরাপদে গিজার ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন তার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ।
কী ভাবে করবেন গিজারের রক্ষণাবেক্ষণ। জেনে নিন কিছু নিয়ম।
- নতুন গিজার লাগানোর সময় সঠিকভাবে বৈদ্যুতিক সংযোগ হয়েছে কিনা অথবা পিজারের পাইপের সংযোগ ঠিক হয়েছে কিনা সেই দিকে নজর রাখুন। পাইপগুলি আয়রনের হলে বেশি ভালো হয়।
- গিজার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। অর্থাৎ, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পর পানি গরম হয়ে গেলে নিজে থেকেই তা বন্ধা হয়ে যায়। বাড়ির গিজারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- গিজারে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পানি গরম হয়ে যায়। খেয়াল রাখুন তা হচ্ছে কিনা। না হলে বুঝবেন গিজারে কোনো গোলযোগ হয়েছে।
- পানি গরম হয়ে গেলে গিজারটি বন্ধ রাখুন। এতে যেমন বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে, তেমনই গিজারটিও দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
- পানি গরম হয়ে গেলে সম্পূর্ণ পানি গিজার থেকে বের করে নিন। পানি মস্তত হতে থাকলে গিজারে আয়রন জমে গিয়ে তা দ্রুত বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- ত্রুটিযুক্ত গিজার থাকলে তা দ্রুত ঠিক করার ব্যবস্থা করুন। না হলে এটি ব্যবহারের ফলে বিপদ ঘটতে পারে।