গরমের আরাম পাকা আম
পাকা আম বাঙালির ভালোবাসা। সারা বছর এই পাকা আমের জন্য বিশাল সময় অপেক্ষা করতে হয়। কারণ সারা বছর পাকা আম পাওয়া যায় না। আম হল মৌসুমি ফল। বছরের ২ থেকে ৩ মাস পাওয়া যায়। পাকা আম গ্রীষ্মকালীন ফল। পাকা আম রসালো ফল, তাই গরমে খেতে বেশ লাগে। ফলের রাজা বলা হয় ‘আম’ কে।
মিষ্টি-মিষ্টি, পাকা, রসালো, আম খেতে বড়ই মধুর লাগে। তবে পাকা আম স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো বা খারাপ কিংবা এই পাকা আমের কি কি ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে তা সম্পর্কে আমরা ক-জনই বা জানি। প্রতিটা খাবার খাওয়ার আগে তার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা উচিত। পাকা আম খেতে ভালো বলে এবং বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে বলে তা আমরা যখন খুশি খেয়ে নেব যত খুশি খেয়ে নেব তেমনটা কিন্তু নয়। যেকোনো খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে একটা পরিমাণ রাখা উচিত। তবে পাকা আমের ভিতরে বিদ্যমান এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা অনেক খাবারই পাওয়া সম্ভব নয়। চলুন জেনে নিই বিষয় গুলো –
আমে থাকা পুষ্টিগুণ –
আম প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, কপার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা বিভিন্ন রোগের জন্য খুবই উপকারী। আয়রন এবং ভিটামিন এ এই দুটো পুষ্টিগুণ খুব কম খাদতেই পাওয়া যায়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা সমূহ
১-আম হজমের সমস্যা দূর করে।
২-কোলন, স্তন, প্রস্টেট ও লিউকেমিয়া ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে আম।
৩-ব্রণ ও ত্বকের সমস্যা থেকে রক্ষা করে আম।
৪-শরীরের রক্ত স্বল্পতা দূর করে।
৫-চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
৬- প্রোস্ট্রেট ক্যানসারের ক্ষেত্রে পাকা আম বেশ কার্যকরী।
৭-শরীরের অ্যালকালি নামের রাসায়নিকের ভারসাম্য ঠিক রাখে আম।
৮- আম শরীরকে গরমের শীতল ভাব এনে দেয়। তাই হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অনন্যা/ডিডি