কেন চেয়ে আছ গো মা
বঙ্গবালা তোমার দুটো চোখ, আজ আকাশ ছেয়ে ফেলেছে
একটি মাতাল আমি গারদে বন্দি
তোমার অপরূপ সুন্দর মুখ, জীবনানন্দের কবিতাকে ছুঁয়েছে
একটি পাগল আমি ফাগুনে মন দি।
মাটির প্রতিমা তুমি মাটির গড়া মা
অস্ত্র হাতে দিকে দিকে লক্ষ সন্তান
জল আর রোদের রঙে আঁকা শস্য-শ্যামলা
বারুদ পুড়িয়ে আজ ফলাবে কি ধান।
কাকে আর হারাবে বলো, তুমি কাকে আর ছোঁবে
আহত নিহত সত্তা, নিংড়ে নিংড়ে
তোমার ওপার গেলো, আমার এপার
ধ্বস নেমে,রক্ত ভেজা হাত,মাটিকে ধরবে কামড়ে।
কান্না ভেজা চোখ,ঘুরে ঘুরে, ভবঘুরের মতো
ভাঙা ভাঙা বোতলে বোতলে,আমাদের বিপ্লব
তোমাকে ছুঁয়েছে নদী, পায়ে পায়ে মিলিয়েছে ক্ষত
যুক্তি তক্কে হেরে, গপ্পে ভেসে যায়,এ পোড়া দেহ শব।
বঙ্গবালা আঁচলে বাতাস নিয়ে, এই অসময়ে মিলিয়ে যেও না
সীমান্তে কাঁটাতার,ভেঙেছে সেতার, গেঁথে রয়েছে বর্ণমালা
সন্তানের ভাঙা বুক, তুমিই যে সুখ, অসুখ জুড়নোর সান্ত্বনা
চলে গেলে কে নেবে বলো আর অর্ঘ্য, সাজাবে দুঃখের বরণ ডালা।