আমার শহর এবং তুষারপাত
শহরে আজ তুষারপাত হচ্ছে
কি অবাক কাণ্ড! এর আগে কখনোই এমন হয়নি, হবার কথাও না। ষড়ঋতুর এই দেশের হাবাগোবা মানুষ গুলোর মধ্যে বরফের মতো কঠিন জিনিস এসে জেঁকে বসবে তা তো কেউ কল্পনাও করেনি।
পুরো রাস্তা বরফে আচ্ছন্ন। সাদা-সাদা বরফ, যেন কেউ নারিকেল কুড়িয়ে ফেলে রেখেছে রাস্তায়।
অবাক করার বিষয় হলো পুরো রাস্তায় কোনো মানুষ নেই! এমনকি যারা দিন-রাত রাস্তায় থাকে তারাও নেই!! কই গেল তারা? এতো বড় বড় অট্টালিকাগুলোও আগে তো দেখিনি! রাস্তার পাশে এতো দামী দামী গাড়ি পার্কিং করা।
রীতিমত অবাক করার মত কাণ্ড। অবশ্য সুন্দরই লাগছে.. সম্ভবত আমরা ধনী হয়ে গিয়েছি। কেউ আর ফুটপাতে থাকে না,সবার ই হয়তো ব্যক্তিগত ফ্ল্যাট অথবা বাড়ি আছে। সবাই যেহেতু ধনী তাই রাস্তায় থাকার প্রশ্নই উঠে না।
অনেক দূরে একটি যুগল হাতে হাত রেখে হেটে আসছে আমার দিকে।ছেলেটার হাতে ছাতা আর মেয়েটি ছেলেটার এক হাত জড়িয়ে ধরে হাঁটছে। দূর থেকেই বুঝা যাচ্ছে তারা একে অপরের সাথে কতটা আনন্দে আছে।
আমার খুব ভাল লাগছে,এ যেন এক স্বপ্নপুরী।
অতঃপর, ঘড়ির এলার্মে ঘুমটা ভেঙে গেল রোহানের
কিছুক্ষণ স্বপ্নের কথা ভেবে নিজের অজান্তেই হেসে দিল সে।তবে, আশাহত হয়নি!কেননা, সে জানে এই শহরে অদূর ভবিষ্যতে তুষারপাত হোক অথবা না হোক, সবার একদিন নিজস্ব বাড়ি থাকবে,গাড়িও থাকবে, আর স্বপ্নে দেখা সেই সুখী দম্পতির মত ভালবাসা এই শহরকে দারুণভাবে গ্রাস করবে।