আইফোন ১৩ নিয়ে এক বিশেষ আতংক!
জীবনে শখের বসেই হোক কিংবা কাজের দ্রুততা বৃদ্ধির খাতিরেই হোক মানুষ আইফোন সিরিজের একটি ফোন কিনতে চায়।আইফোন কোম্পানিটিও এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে নিত্য নতুন তাদের হ্যান্ডসেট গুলো বাজারে নিয়ে আসছে।তবে আইফোন ১৩ নিয়ে ইতোমধ্যেই এক বিশেষ সমস্যার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।বাইরে থেকে ডিসপ্লে পরিবর্তন করলেই ভুগতে হবে ফল, ফিচার হারিয়ে সমস্যায় পড়বেন আইফোন ১৩ ক্রেতারা!
সদ্য বাজারে আসা অ্যাপেল আইফোন ১৩ -এর ক্রেতারা সাবধান! কোনোভাবে ফোনের ডিসপ্লে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভুল করেও তা স্থানীয় দোকান থেকে সারানোর কথা ভাববেন না। কারণ এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সম্প্রতি এক জনপ্রিয় ইউটিউবার বিষয়টি সম্পর্কে সকলকে সচেতন করেছেন।
আসলে ফোনের ওয়ারেন্টি মেয়াদ শেষ হলে আইফোন ব্যবহারকারীদের পক্ষে কিছু সমস্যা তৈরী হয়। এক্ষেত্রে ফোন ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারা কিভাবে সেটা সারিয়ে তুলবেন সেটা একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। অ্যাপলের ফোন মেরামত খরচ অত্যন্ত বেশী হওয়ার ফলে অনেক ক্রেতা স্থানীয় দোকান থেকে স্বল্প মূল্যে ফোন সারানোর কথা ভাবেন। কিন্তু আইফোন ১৩ ক্রেতারা এই সিদ্ধান্ত নিলে বিপদে পড়বেন। যদিও সকলেই নন, বাইরে থেকে ডিসপ্লে পরিবর্তনকারীরা সাজা পাবেন সব থেকে বেশী। সাজা বলছি কারণ এমন সিদ্ধান্তের ফলে আপনার ফোনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যেতে পারে। অন্য কিছু নয়, বরং এর ফলে নতুন ডিভাইসের ফেস আইডি (Face ID) ফিচার পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অ্যাপলের পরিষেবা বহির্ভূত অন্য কোনো উপায়ে অর্থাৎ স্থানীয় রিপেয়ারিং সংস্থা মারফত আইফোন ১৩ ডিভাইসের ডিসপ্লে বদল করলে ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানির পক্ষ থেকে এর ফেস আইডি ফিচার নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে। মেরামতির জন্য আসল বা নকল যে ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করা হোক না কেন তাতে ফলাফল বদলাবে না। এমনকি দুটি আইফোন ১৩ ডিভাইসের মধ্যে স্ক্রিন অদল-বদল করলেও পরিণতি একই থাকবে। অর্থাৎ বাইরে থেকে ফোন সারালেই এক্ষেত্রে ক্রেতাকে তার ফল ভুগতে হবে।
বাস্তবে স্ক্রিন রিপ্লেসমেন্ট চার্জ হিসেবে অ্যাপল আইফোন ১৩ ক্রেতার কাছে প্রায় ১৭,০০০ টাকা থেকে ২৪,৪০০ টাকা দাবী করতে পারে। বহুক্ষেত্রে সংস্থার এই বড় আর্থিক চাহিদা মেটানো গ্রাহকের পক্ষে অসুবিধাজনক হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে বাইরে বা স্থানীয় কোনো দোকান থেকে ফোন সারালে অনেক কম টাকা খরচের সম্ভাবনা থাকে। তাই অনেকে এই দ্বিতীয় উপায় বেছে নেন। কিন্তু অ্যাপলের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের ফলে এই সুবিধা নষ্ট হতে চলেছে।
আলোচ্য ক্ষেত্রে অ্যাপলের সিদ্ধান্ত বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে অনেকে অনেক রকম কথা বলছেন। তবে আসলের বদলে সস্তা ও নকল উপকরণ দিয়ে ফোন মেরামত রোধ করতেই অ্যাপলের এই সিদ্ধান্ত বলে আমাদের ধারণা। এক্ষেত্রে কুলীন স্মার্টফোন প্রস্ততকারক সংস্থাটি আইফোন ১৩ ডিভাইসের আসল ডিসপ্লের উপরে এনক্রিপশন আরোপ করেছে। তাই ডিসপ্লে পরিবর্তনের ফলে ডিভাইসের নির্দিষ্ট আইসি (IC) নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে যা ফেস আইডি ফিচার কাজ করার পক্ষে একান্ত দরকার।
আইফোনের কাজ করার ক্ষমতার কারণে মানুষ আইফোনকে নিজেদের প্রথম চয়েসের তালিকায় রাখে।আইফোন ১৩ কেনার পরে অবশ্যই বিষয়গুলোকে বিশেষ গুরুত্বসহ দেখবে এর ক্রেতারা কেননা সামান্য ত্রুটির কারণে হারিয়ে ফেলার ভয় আছে এই বিশেষ মোবাইলটিকে।