স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক ধাপ অক্টোবরে!
আমরা সকলেই সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে যে ইন্টারনেট সুবিধা পাই তার ব্যাপারে আগে থেকেই অবগত।তবে সেখানেই একটি ভিন্ন চিন্তার জন্ম দিয়েছিল স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠানটি।তাদের ধারণায় তারা সম্পূর্ণ ক্যাবলকে সরিয়ে বিষয়টিকে পুরো দস্তুর স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিচালনা করতে চেয়েছিল।
সে হিসেবে স্টারলিংকের বেটা ধাপটি শেষ হচ্ছে অক্টোবরের কোনো এক সময়ে। প্রযুক্তি-বিষয়ক ব্লগ এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন বলছে, সেপ্টেম্বর নাগাদ বৈশ্বিক কাভারেজ সম্পন্নের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
এখন পর্যন্ত শুধু উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের অংশ-বিশেষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ স্টারলিংকের বেটা ধাপ। উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রমের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, চিলি এবং নিউ জিল্যান্ডের মতো দেশগুলো। প্রসারের পরিকল্পনাও সীমিত রাখা হয়েছে জাপান ও মেক্সিকোর মধ্যে। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ফিলিপিন্সের মতো দেশগুলোতে সহায়ক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নিয়েছে স্পেসএক্স।
সেবাটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছে এনগ্যাজেট। স্পেসএক্স জানিয়েছে, অগাস্টের শেষ পর্যন্ত এক লাখ স্পেসএক্স টার্মিনাল পাঠিয়েছে তারা। বেটা ধাপ শেষ হলে এবং আরও দেশ প্রবেশাধিকার সেবায় পেলে এ সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
স্টারলিংকের ইন্টারনেট উচ্চ ব্যান্ডউইথ দিয়ে এবং ডেটা আদান-প্রদানের সময় কমিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও উন্নয়নশীল দেশে ব্রডব্যান্ডের ঘাটতি পূরণ করতে পারবে। তবে, গোটা বিষয়টিই নির্ভর করছে স্টারলিংক আনার ব্যাপারে যে সময়সীমার প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তার উপর।
কিছুদিন আগে মাস্ক দাবি করেছেন, ‘প্রায় আলোর গতিতে’ ডেটা স্থানান্তরের সক্ষমতা থাকবে কৃত্রিম উপগ্রহ নির্ভর ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংকের। বর্তমানে স্টারলিংকের নেটওয়ার্ক ডিশ, স্যাটেলাইট ও গ্রাউন্ড স্টেশনের উপর নির্ভরশীল। তবে, আগামীতে যে গ্রাউন্ড স্টেশন থাকবে না, সে ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি।
কাজটি কেমন সফল হবে তার আভাস ইঙ্গিত মিলছে এখনেই। দূরত্ব যেমনেই স্থান যতটাই হোক সকল জায়গায় ইন্টারনেট সেবা পাবে বিশ্ববাসী। এমন যুগান্তকারী সেবার মাধ্যমে আলোকিত প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ গঠন সম্ভব।