তরকারীতে ঝাল বেশি হয়ে গেলে করণীয়
মিষ্টি সবাই খেতে পারলেও ঝাল কিন্তু সবাই আবার খেতে পারে না। একটু ঝাল খেতেই অনেকের তো জান যায় যায় অবস্থা। ঝাল বেশি হয়ে যায় বেশিরভাগ মাংস জাতীয় খাবার রান্নার ক্ষেত্রে। মাংস সবার একটি প্রিয় খাবার। এই খাবারে যদি ঝাল বেশি হয়, তাহলে সেটি আর মজা করে খাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে যারা আবার ঝাল খেতে পারে তাদের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হয় না।
ঝাল জাতীয় খাবার বেশি খেলে বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে খেলেও পেটে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। তাই কিভাবে এই ঝালযুক্ত খাবার কে ঝাল মুক্ত করবেন সেটা জানতে হবে। খুবই সহজ সমাধান এর। আপনার রান্না ঘরেই আছে সকল উপকরণ, যেগুলো দিয়ে আপনি সহজেই পারবেন যে কোনও তরকারীর ঝাল কমাতে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আলু কে বলা যায় মিশুক সবজি। কেননা খুব সহজেই যে কোনও খাবারের সাথে সে মিশে যেতে পারে পুরোপুরি ভাবেই। প্রত্যেকটা রান্না করা তরকারীর সাথে এই আলু ব্যবহার করা যায়। আলুর গুণাগুণ ও অনেক। ঝাল কমাতে এর জুড়ি নেই। তরকারীতে বেশি ঝাল হয়ে এলে একটা আলু ৪ টুকরা করে কেটে তরকারীতে দিয়ে দিন। অতিরিক্ত ঝাল আলু নিয়ে নিবে। ফলে তরকারীতে ঝালের পরিমাণ কমে যাবে।
বাদাম ও কিন্তু ঝাল কমাতে ভালো কাজ করে থাকে। তরকারীতে ঝাল বেশি হয়ে এলে বাসায় বাদাম থাকলে ( যে কোন বাদাম) এক মুঠো বাদাম শিল পাটায় পেস্ট করে তরকারীতে দিয়ে দিন। এতে তরকারীর স্বাদ বেড়ে যাবে সেই সাথে ঝাল কম হবে।
ব্যবহার করুন লেবুর রস ঝাল কমাতে। আমরা কিন্তু সবাই জানি যে ঝাল তরকারীতে লেবু দিয়ে খেলে কিন্তু ঝাল ততোটা লাগে না। কিন্তু এই লেবুর রস যদি আপনি রান্নার সময় ঝাল বেশি হওয়া তরকারীতে দিয়ে দেন ২ চা চামচ, তাহলে কিন্তু তরকারীর অতিরিক্ত ঝাল নিয়ে নিবে লেবুর রস।
খাওয়ার সময় ও যদি ঝাল লাগে তাহলে পাতে রাখুন এক টুকরো লেবুর ফালি। এতে ঝাল কম লাগবে এবং তরকারী দিয়ে মজা করে আপনি খেতে ও পারবেন। ঝাল কোনও বাঁধা দিবে না আপনায় খেতে। বা খাওয়া শেষে এক চা চামচ টক দই খেয়ে নিতে পারেন। এতেও ঝাল চলে যাবে।