চুল দান করে বিশ্বরেকর্ড
চুল নারীর সৌন্দর্য। বাংলা সাহিত্যেও নারীর চুল নিয়ে রয়েছে অনেক রচনা। কবিতা হোক বা উপন্যাস, সাহিত্যের প্রায় সব ক্ষেত্রেই নারীর চুলের বর্ণনা পেয়েছে বিশেষ একটি স্থান। তবে চুল বড় রাখা কিন্তু মুখের কথা নয়। চুল লম্বা রাখা বেশ কঠিন কাজই বলা যায়। লম্বা চুলের জন্য নিতে হয় বাড়তি যত্ন। পোহাতে হয় বাড়তি ঝামেলা। এই লম্বা চুলের ঝামেলা দীর্ঘ ধরে সামাল দিয়ে আসছেন পাক বংশোদ্ভূত মার্কিন নারী খেলোয়াড় জাহাব কামাল খান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার স্কোয়াশ খেলোয়াড় জাহাব কামাল খান। ৩০ বছর বয়সী এই নারীর জন্য লম্বা চুল সামলে খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়াটাও কম ঝকমারি ছিল না। একজন পেশাদার স্কোয়াশ খেলোয়াড়ের জন্য লম্বা চুল রেখে খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়াটাও কম কঠিন ব্যাপার না। সেই অসাধ্য সাধনও করেছেন জাহাব কামাল। ১৩ বছর বয়সে সর্বশেষ চুল কেটেছিলেন জাহাব। আর এই ১৮ বছরে মার্কিন স্কোয়াশ খেলোয়াড়ের চুল ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি বেড়ে গিয়েছিল। অবশেষে ১৭ বছর পর কেটে ফেললেন সেই সাধের চুল। তবে চুলের কাটা অংশ তিনি নিজের কাজে লাগাননি। যেসব শিশুর চিকিৎসার কারণে চুল উঠে যায় তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থায় দান করেছেন ৬১ ইঞ্চি চুল। সংস্থাটির নাম ‘Children With Hair Loss’।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জাহাব লিখেছেন, আমার বাবার দেওয়া একটি আইডিয়া আমার জীবন বদলে দিয়েছিল, আমাদের ১৮ বছরের স্বপ্ন অবশেষে সত্যি হল। চুল হারানো এসব শিশুদের সাথে কাজ করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। আমাকে যারা সমর্থন জানিয়েছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
শিশুদের জন্য সংস্থায় দান করে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডেও ঠাঁই করে নিলেন এই তরুণী। বিশ্বে এককভাবে সবচেয়ে বেশি চুল দান করার রেকর্ড এখন তার। ইতিমধ্যে চুল দান করার ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন জাহাব। পাশাপাশি জানিয়েছেন নিজের মনের কথাও। তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সকলে।
নিজ দেশ পাকিস্তানের করাচিতেও তার নিজের তৈরি একটি সেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন আছে। যার নাম ‘Zahab Neha Foundation’। ভবিষ্যতে সমাজসেবামূলক আরো কর্মকাণ্ডের জন্য তার প্রতি রইলো শুভকামনা।