হাইহিল পরে কুচকাওয়াজে অংশ নিবেন নারী সেনারা
পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র ইউক্রেন। আজ থেকে ৩০ বছর আগে ২৪ আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে দেশটি। অন্যান্য দেশের মতো তারাও বিভিন্ন আয়োজনে পালন করে স্বাধীনতা দিবস। তার মধ্যে অন্যতম একটি আয়োজন রাষ্ট্রীয় কুচকাওয়াজ। প্রতিবছরই দেশটির সেনাবাহিনীরা কুচকাওয়াজের আয়োজন করে। তবে এবছর এই কুচকাওয়াজকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা – সমালোচনা।
বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে যাওয়া এই আলোচনা – সমালোচনা কারণ দেশটির নারী সেনারা এ বছর কুচকাওয়াজে অংশ নিতে যাচ্ছে হাইহিল পরে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার একটি ছবি প্রকাশ করলে তাতে দেখা যায়, নারী সেনা সদস্যরা কালো রঙের হাইহিল পরে কুচকাওয়াজের অনুশীলন করছে।
আর এ ছবি প্রকাশের পরপরই রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। অনেকেই এ ঘটনাকে নারীর প্রতি অন্যায় হিসেবে দেখছেন। তাদের মতামত, নারী সেনাদের উপর এ ঘটনা চাপিয়ে দিয়ে নারী সেনাদের নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে। তবে এ আলোচনা -সমালোচনায় যে শুধু নেটিজেনরাই যোগ দিয়েছে তা কিন্তু নয়। সমালোচনা চলছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে।
ইউক্রেনের রাজনৈতিক দল গোলোস পার্টির সদস্য ইন্না সোভসান এ বিষয়ে বলেন, ‘নারীদের জন্য এটা খুবই ক্ষতিকর ও অবমাননাকর একটি পরিকল্পনা। ইউক্রেনের নারী সৈন্যরাও পুরুষদের মতো জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। তাঁদের জন্য এমন উপহাস প্রাপ্য নয়।’
নানান ধরনের তর্ক-বিতর্ক চললেও অন্যদিকে হাইহিল পরে কুচকাওয়াজে অংশ নেয়ার জন্য অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন নারী সেনারা। তাদের ভাষ্যমতে, সচরাচর বুট পরে কুচকাওয়াজে অংশ নেয়ায় হাইহিল পরে অংশ নেয়া একটু কঠিন তো বটেই। তবুও তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিশ্বজুড়ে চলমান এই আলোচনা – সমালোচনার পরে আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে আদৌ দেশটির নারী সেনাদের হাইহিল পরে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে কিনা এখন তাই দেখার বিষয়।