বিরিয়ানিতে আলুর বদলে কাঁঠাল!
বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। মুরগি বা গরুর মাংসের বিরিয়ানি তো অনেক খেলেন কিন্তু কাঁঠাল বিরিয়ানি খেয়েছেন কখনো? হ্যাঁ খুব সহজেই ঘরেই তৈরি করতে পারবেন নতুন এই খাবারটি। এটি খাবারে আনবে নতুনত্ব। তবে চলুন জেনে নেই কিভাবে তৈরি করবেন মজাদার কাঁঠাল বিরিয়ানি-
উপকরণ
১। পোলাও চাল – ৩ কাপ
২। কাঁচা কাঁঠাল – ২ কাপ
৩। পেঁয়াজ কুচি – ১ কাপ
৪। আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
৫। রসুন বাটা – ২ চা চামচ
৬। জিরা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
৭। ধনে গুঁড়ো – ১ চা চামচ
৮। বিরিয়ানি মসলা – ১ টেবিল চামচ
৯। হলুদগুঁড়ো – ১ চা-চামচ
১০। মরিচ গুঁড়ো – ১ চা-চামচ
১১। লবণ – স্বাদমতে
১২। তেল – আধা কাপ
১৩।এলাচি – কয়েকটা
১৪। দারুচিনি ও তেজপাতা – কয়েকটা
১৫। কাঁচা মরিচ – ১২/১৪টি
১৬। বেসন – ১ টেবিল চামচ
১৭। ঘি – ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
প্রথমে পোলাও চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর কাঁচা কাঁঠালের খোসা ফেলে টুকরা করে কেটে নিন। কাঁঠালের টুকরোগুলো সামান্য হলুদ, মরিচ, জিরার গুঁড়ো, আদা ও রসুন বাটা, লবণ ও বেসন মিশিয়ে ভালো করে মেখে আধা ঘণ্টা রেখে দিন মেরিনেশনের জন্য।
এবার প্যানে হালকা তেল গরম করে কাঁঠালের টুকরাগুলোর দুই পাশ হালকা ভেজে নিন। আরও একটু তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে অর্ধেক তেল ও অর্ধেকটা ভাজা পেঁয়াজ তুলে রাখুন। এদিকে গরম মসলা ও বাটা মসলা প্যানে দিয়ে ভাজতে থাকুন।
গুঁড়ো মসলা, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর ভাজা কাঁঠাল ও ১ কাপ পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে তেল ওপরে উঠে এলে কাঁঠালের টুকরোগুলো তুলে নিন। পেঁয়াজ ভাজার বাকি তেল ঢেলে দিন।
এবার পোলাও চাল ওই তেলে কয়েক মিনিট ভাজুন। এরপর ১ কাপ গরম পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে দিন। পানি অর্ধেক শুকিয়ে এলে কাঁঠালের টুকরো, কাঁচা মরিচ ৮-১০টি ও স্বাদ বুঝে লবণ দিয়ে নেড়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দমে রাখুন। চাল সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে উপড়ে ১ টেবিল চামচ ঘি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা ছড়িয়ে আরও কয়েক মিনিট হালকা আঁচে দমে রাখুন। সবশেষে চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন মজাদার কাঁঠাল বিরিয়ানি। বর্ষার বিকেলটাকে করে তুলুন আরো আনন্দময়।