কিভাবে রাখা যায় শিশুদের মনকে সতেজ?
করোনা কালীনে ঘরে বসে কেটে যায় সময়। দীর্ঘ সময় ঘরের মধ্যে কাটানোর ফলে মানুষ হয়ে গিয়েছে গ্যাজেট নির্ভর। শুধু যে বড়রা গ্যাজেট নির্ভর হয়েছে তা কিন্তু নয়, বড়দের সাথে সাথে ছোটরাও হয়ে গিয়েছে গ্যাজেট নির্ভর।
একটি দেড়-দুই বছরের শিশু যে কিনা স্পষ্ট করে কথাই বলতে পারে না সেও কিন্তু মোবাইল খুলে ইউটিউব বের করে ভিডিও দেখতে পারে। এই অল্প বয়সে মোবাইল আসক্তি হওয়া কি ঠিক?
একটি শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুর যত্নের পাশাপাশি মনকেও সতেজ রাখতে হবে। শিশুরা যাতে গ্যাজেট নির্ভর না হয় সেজন্য পরিবারের সদস্যদেরকেই শিশুদের পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। পরিবারের সংস্পর্শে থাকলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক উভয় বিকাশই ভালো ভাবে হবে।
করোনায় ঘরে বসেই দিন কেটে যায়। শিশুদের বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়া যায় না। তাহলে কি করা যায়?
শিশুদের সাথে সাথে নিজেকেও তার জায়গায় রেখে খেলতে হবে তার সাথে। খেলার ছলেই শিখাতে হবে ছড়া, গান, নাচ প্রভৃতি, খাওয়াতে হবে পুষ্টিকর খাবার। সে যা করতে হবে সেই কাজটি নিজেকেও তার সাথে করতে হবে। প্রতি মুহূর্তে পরিবারের একজনকে থাকতে হবে তার সাথে। বিকেলে বারান্দায় বসে কিংবা বাড়ির উঠোনে বা ছাদে তাকে হাটতে বের করলেন। করলেন তার সাথে একটু ছোটাছুটি ক্ষতি কি? বরং এতে করে দেখবেন সে অনেক বেশি উৎফুল্ল ও সতেজ হয়েছে।
শিশুদের চাহিদা খুব সামান্যই হয়। যখন সে পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে চলে আসবে ধীরে ধীরে তার গ্যাজেটের প্রতি তৈরি হওয়া আসক্তি কেটে যাবে। এতে করে শিশু শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই সুস্থ থাকবে।