সরষে এঁচোড়ের স্বাদে বর্ষা নামুক অন্তরে
পাকা কাঁঠালের সুঘ্রাণ আর স্বাদের কথা সবারই জানা। কাঁচা কাঁঠাল অর্থাৎ এঁচোড় কিন্তু স্বাদে এবং গুণে কম যায় না। এখন প্রায় সব বাজারেই পাওয়া যাচ্ছে এঁচোড়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন-এ, সি, বি-৬, বি-১২ প্রভৃতিতে সমৃদ্ধ রান্নার এই উপকরণটি। শুধু ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানোই নয়, এঁচোড় খেলে প্রতিরোধ করতে পারবেন আরও অনেক রোগ। এটি তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। এঁচোড়ের তরকারি যে একবার খেয়েছে সে নিশ্চিত ভাবে বারবার খেতে চাইবে। স্বাদে ভরা এঁচোড় এবং সরষে দিয়ে লোভনীয় একটি রেসিপি রইল আপনাদের জন্য৷
উপকরণ
এঁচোড় ৫০০ গ্রাম,
ছোট পেঁয়াজ ২টা,
সরষে ১ চা-চামচ,
কারিপাতা ১টা,
জিরা আধা চা-চামচ,
মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ,
কাঁচা মরিচ ৪টা,
শুকনো মরিচ ২টা,
রসুন ৬ কোয়া,
নারকেল কোরা ১ কাপ,
হলুদ গুঁড়া দেড় চা-চামচ,
ধনেপাতা কুচি ২ চা-চামচ,
তেল ২ টেবিল চামচ,
ঘি ১ চা-চামচ,
লবণ ও চিনি স্বাদ মতো।
প্রণালী
এঁচোড় বড় বড় টুকরো করে কেটে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে সেদ্ধ করে নিন। তেল গরম করে ছোট পেঁয়াজ, জিরা, সরষে, রসুন, নারকেল কোরা, হলুদ গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে বেটে নিন। মশলা তৈরি।
এরপর কড়াইতে তেল ও ঘি দিয়ে শুকনো মরিচ, কারিপাতা, সরষে, ছোট পেঁয়াজ ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বেরোলে সিদ্ধ করা এঁচোড় দিয়ে নাড়তে থাকুন। ভাজা ভাজা হলে বাটা মশলা দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন। তারপর অল্প পানি দিয়ে ঢেকে রাখুন। কিছুক্ষণ ফোটার পর মাখা মাখা হয়ে গেলে লবণ ও চিনি দিয়ে নামিয়ে নিন। কারিপাতা ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।