নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যে খাবার
। ঘরের মায়েরা নিজেদের কথা ভুলে গিয়ে বাকি সবার কথা ভাবতে থাকে। ফলে তাদের নিজের শরীরের যত্ন ঠিক ভাবে নেওয়া হয়ে উঠে না। কোন সদস্য কি খাবে না খাবে সেটি মা সবসময় খেয়াল রাখেন । কিন্তু নারীদেরও যে সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে সুস্থ থাকার জন্য সেটা হয়তো মাথায় রাখে না কেউ। নারীদের শরীরের খাদ্যের চাহিদা একটু ভিন্ন রকমের। তাই তাদের খাবারে রাখতে হবে পুষ্টিকর সকল খাবার। এতে করে তাদের শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকবে এবং অন্যান্য সমস্যা থাকলে সেটিও দূর হবে।
পরিবারের সকলের পাশাপাশি নারীদেরও সমান ভাবে খেতে হবে পুষ্টিকর সকল খাবার। যেমন: প্রোটিন , ভিটামিন, ফাইবার ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবারসমূহ। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ফল ,শাক-সবজি, মাছ মাংস খেতে হবে। সবুজ রঙের শাক সবজি খেতে হবে বেশি পরিমাণে। যাতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এবং প্রোটিন থাকে।
এক্ষেত্রে পালং শাক বেশ কার্যকর। পালং শাকে সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান । ফলে নিয়মিত এই পালং শাক খেলে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। পালং শাক রক্তের শর্করা ঠিক রাখে। ফলে রক্তে শর্করা বাড়তে পারে না। এছাড়াও শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে ও ভালো কাজ করে থাকে এই পালং শাক।
সকল প্রকার রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন টমেটো । টমেটোর কার্যকারী ক্ষমতা অনেক। যা একটি নারীকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে থাকে। এতে থাকে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করার ক্ষমতা । নিয়মিত টমেটো খাওয়ার ফলে দূর হবে স্তন ক্যান্সার হওয়ার ভয়। টমেটো স্তন ক্যান্সার কে রুখতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও যাদের হার্টে সমস্যা আছে তাদের জন্যও ভালো কাজ করবে এই টমেটো । তাই নিয়মিত খেতে হবে , রান্নায় ব্যবহার করতে হবে টমেটো ।
পুষ্টিকর খাবারের সিরিয়ালে নাম আছে ওটসেরও। ওটসের সম্পর্কে নতুন করে বলার যদিও কিছু নেই। কিন্তু ওটস হজম ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে থাকে অনেক। সকালে বা রাতে খেতে পারেন ওটস। ওটস আপনার হার্ট ভালো রাখবে এবং রক্ত চাপকেও রাখবে নিয়ন্ত্রণে । এছাড়াও এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। ওটস আপনাকে প্রয়োজনীয় কাজের শক্তি প্রধান করে থাকে। এতে করে খুব জলদি ক্লান্তি ভাব আসবে না। তাই সুস্থ থাকতে একজন পুরুষের পাশাপাশি একজন নারীর ও সমান ভিটামিন খাওয়া প্রয়োজন ।