অভিষেক ম্যাচে রেকর্ড গড়লেন কৃষককন্যা স্নেহ রানা
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা একমাত্র টেস্ট ম্যাচে রেকর্ড করেছিলেন ভারতের অলরাউন্ডার স্নেহ রানা। ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে ফিফটি ও চার উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন স্নেহ রানা। অভিষেক টেস্টে এই কীর্তি অর্জনে তিনি বিশ্বের চতুর্থ মহিলা ক্রিকেটার।
ভারতের দেহরাদুনে স্নেহ রানার বাড়ি। তার বাবা ভগবান সিং রানা গ্রামের একজন দরিদ্র কৃষক। মাস দুয়েক আগে তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।
অভিষেক খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৮ নম্বরে ব্যাট করতে মাঠে নামেন স্নেহ। তার খেলা ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি দলকেও ম্যাচ হারা থেকে রক্ষা করেছে। সেই সঙ্গে নবম উইকেটে শতাধিক রান জুটি। স্নেহ রানা তানিয়া ভাটিয়ার সাথে নবম উইকেটে ১০৪ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ করেন। স্নেহ তার ইনিংসে ১৫৪ বলের মুখোমুখি হন এবং ১৩টি বাউন্ডারি করেন। তিনি ৯১ বলে ফিফটি করেন।
ইংল্যান্ড নয় উইকেটে ৩৯৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। অভিষেক ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই চার উইকেট শিকার করেন স্নেহ রানা। এরপর ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি ভারত। তবে ওপেনিং জুটি ভেঙে যাওয়ার পর একে একে সাজঘরে ফেরেন বাকিরা। ২৩১ রানেই অলআউট। তাদের ফলোঅন করায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় বিপর্যয়ের সামনে পড়ে ভারতীয়রা। ১৯৯ রানে পৌঁছাতেই নেই ৭ উইকেট। মাঠে আসেন স্নেহ রানা। ১৫৪ বল খেলে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ক্রিজের অপর পাশ ধরে রাখেন তানিয়া। ৮৮ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এই জুটি থেকে আসে ১০৪ রান। অবশেষে দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে আট উইকেটে ৩৪৪ রান সংগ্রহ করে ভারত ম্যাচটি ড্র করেছিল।
নবম উইকেটে বা টেল এন্ডারে ১০০-র বেশি রান আসে এই জুটি থেকে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বিশ্বের দ্বিতীয় জুটি হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন ভারতীয় মহিলা দলের দুই তনয়া। এর আগে এই রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার নুয়ান কুলাসেকারা এবং চামিন্ডা ভাস জুটির। ২০০৬ সালে লর্ডসে এই জুটি টেলএন্ডারে নেমে ১০০-র বেশি রান করেছিল।