এন্ট্রাপ্রিনিউরশিপ, স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ক্যাম্পের ১ম পুরস্কার অর্জন বাংলাদেশের
এবারের ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০ এর অধীনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় এন্ট্রাপ্রিনিউরশিপ, স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠান।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, জনাব এম. এ. মান্নান এমপি, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক কোঅপারেশন ইয়্যুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ) এর মাননীয় প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান, এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব মো: আখতার হোসেন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক, মো: আজহারুল ইসলাম খান।
প্রতিযোগিতার সামগ্রিক কার্যকলাপ তুলে ধরতে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ভিডিও উপস্থাপন করার মাধ্যমে সমাপনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, জনাব এম. এ. মান্নান, এমপি বলেন, “আমাদের দেশের আর্থসামাজিক বিকাশের চলমান ধারাটি ত্বরান্বিত করে একটি স্থিতিশীল এবং টেকসই ভবিষ্যত গঠনের জন্য আমাদের এই বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, উদ্ভাবনের এবং বাস্তবায়নের সাথে জড়িত করা দরকার”।
অনুষ্ঠানটির সভাপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ আহসান রাসেল এমপি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশের বর্তমান যুবসংখ্যা প্রায় ৫৩ মিলিয়ন যারা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বারা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রধান চালিকাশক্তি”।
ইসলামিক কোঅপারেশন ইয়্যুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ) এর মাননীয় প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সকল স্টেকহোল্ডারের জন্য সম্মিলিত দায়িত্ব তরুণদের জন্য একটি উদ্যোগী বাস্তুসংস্থান প্রদান করা। একটি যুব প্রতিষ্ঠান এবং সহযোগী হিসাবে, আইসিওয়াইএফ নিশ্চিত করবে সকল ওআইসি অঞ্চলে এবং তার বাইরেও তরুণদের সমৃদ্ধির দিকে আরও ভাল পৌঁছানোর জন্য তাদের সর্বোত্তম লক্ষ্যগুলো অর্জনে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবো।”।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব মো: আখতার হোসেন বলেন, “আমি আশা করি যে উন্নত ভবিষ্যত গড়তে এই ইভেন্টে অংশ নেওয়া যুবকরা প্রশিক্ষণ ও মেন্টরশিপ সেশনের মাধ্যমে শিখেছে যা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা ও সমস্যা সমাধান ও পরিচালনায় অবদান রাখবে”।
এর আগে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক, মো: আজহারুল ইসলাম খান তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “এন্ট্রাপ্রিনিউরশিপ, স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ক্যাম্পের যে সকল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে অংশগ্রহণকারীদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের স্টার্টআপগুলোকে প্রশিক্ষণ দিয়ে, অংশগ্রহণকারীদের বাজার ও ব্যবসায়িক মডেল সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করেছে এবং তাদের উপস্থাপনা, পরিচালনা এবং নেটওয়ার্কিং দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে।"
এরপর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিন মাসব্যাপী এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন আইসিওয়াইএফ প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, জনাব এম. এ. মান্নান এমপি।
ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ প্রজেক্টের জন্য বাংলাদেশ থেকে ইমরান ফাহাদ প্রথম স্থান অধিকার করেন, জর্ডান থেকে পোস্টহাব প্রজেক্টের জন্য দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন আলবারাসনেহ আলি এবং কার্বন অ্যাডন্স প্রজেক্টের জন্য তৃতীয় স্থান অধিকার করেন ইন্দোনেশিয়া থেকে মোহাম্মদ নওফাল।
সেরা তিনজন প্রতিযোগীকে অর্থপুরস্কারসহ আন্তর্জাতিক রাউন্ডের সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদপত্র প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য যে, ওআইসি অধিভুক্ত সংগঠন আইসিওয়াইএফ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও গতিশীল নেতৃত্ব এবং যুবকদের প্রতি তার সরকারের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ঘোষণা করে।