Skip to content

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এভারেস্ট জয়ে রেকর্ডকারী দুই ভিন্ন বয়সের ভারতীয় নারী

পবর্তারোহীদের জন্যে অন্যতম আকর্ষণীয় একটি স্থান হল হিমালয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গ। কিন্তু এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।  মাউন্ট এভারেস্ট ট্র্যাকিং এ রয়েছে পদে পদে মৃত্যু ঝুঁকি। কিন্তু তারপরও পর্বতারোহীদের অজস্র উত্তেজনা ও জয়ের প্রবল ইচ্ছার কারণে প্রতিবছরই অনেক মানুষ আসে বিশ্বের সর্বোচ্চ এই শৃঙ্গটি জয় করতে। অনেকে সফল হয় আবার অনেকে প্রাণ হারায় এই মৃত্যুকূপে। ২৯ হাজার ফুট উচ্চতার এভারেস্টে উঠতে পার করতে হয় বৈরী আবহাওয়ার। শারীরিক ও মানসিক দুই শক্তিই প্রয়োজন এই শৃঙ্গ জয় করতে।

আজ আমরা এমন দুইজন ভারতীয় নারী সম্পর্কে জানবো যারা বয়সের মাধ্যমে রেকর্ড করেছিলেন মাউন্ট এভারেস্টের বিজয়। ভিন্ন ভিন্ন বয়সে এভারেস্ট জয় করে একজন হয়েছিলেন সেইসময়ে ভারতের এভারেস্টজয়ী সবচেয়ে বেশি বয়সী নারী আর অন্যজন হয়েছিলেন এভারেস্টজয়ী সবচেয়ে কম বয়সী নারী।

 

 

পূর্ণা মালাভাথ

এভারেস্ট জয়ে রেকর্ডকারী দুই ভিন্ন বয়সের ভারতীয় নারী

 

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের একটি ছোট্ট গ্রামে মেয়ে পূর্ণার। ২০১৪ সালে এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। এভারেস্টজয়ী সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে সেই সময় রেকর্ড করেছিলেন পূর্ণা। সেদিনের পর থেকে এর ১৪ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের এভারেস্ট জয়ের সেই রেকর্ডটি তিনি নিজের ঝুরিতে এনেছিলেন। 

এভারেস্টের পথে পূর্ণা প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিছুদিন আগেই সেখানে হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটেছিল। তবে এত কিছুতেও দমে যাননি তখনকার ১৩ বছরের কিশোরী। এভারেস্টের চূড়ায় উড়িয়েছিলেন বিজয় পতাকা। এই দুঃসাহসিক কাজের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, মেয়েরা যেকোনো কিছুই অর্জন করতে পারে। 
পূর্ণাকে নিয়ে অভিনেতা রাহুল বোস পরিচালিত পূর্ণা নামের একটি চলচ্চিত্রও রয়েছে।

 

প্রেমলতা আগরওয়াল

এভারেস্ট জয়ে রেকর্ডকারী দুই ভিন্ন বয়সের ভারতীয় নারী

 

প্রেমলতা আগরওয়াল এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন ২০১১ সালে। তার বাড়ি ভারতের ঝাড়খন্ডে। এভারেস্ট জয় করার সময় তিনি ছিলেন দুই সন্তানের মা। তখন তাঁর বয়স ছিল ৪৮ বছর। সে সময় তিনি ছিলেন ভারতের এভারেস্টজয়ী সবচেয়ে বেশি বয়সী নারী। যদিও পরে সেই রেকর্ড ভেঙেছিলেন আরেকজন, তবে পথপ্রদর্শক হিসেবে তিনিই ছিলেন। বিশ্বের সাত মহাদেশের সাত সর্বোচ্চ পাহাড়চূড়াতেও (সেভেন সামিট) পা রেখেছেন প্রেমলতা। প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে এই রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

পর্বতারোহণে অবদান রাখায় ভারত সরকারের দেওয়া সম্মানসূচক ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার পেয়েছেন প্রেমলতা। আরও পেয়েছেন ‘তেনজিং নোরগে ন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ড’। লিমকা বুক অব রেকর্ডসেও নাম লিখিয়েছেন প্রেমলতা। এই বয়সে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের মাধ্যমে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ