Skip to content

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা ও ফ্লু এক নয়

করোনার আতঙ্কে সময় পার করছে সবাই। করোনার কোনো লক্ষণ দেখা দিলেই যেন মনে ভয় জেঁকে বসে, করোনা নয় তো! তার ওপর আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই ঠাণ্ডা লেগেই আছে। একটু ঠাণ্ডা লাগলেই ফ্লু দেখা দিচ্ছে। এতে অনেকেরই মনে করোনার সংশয় দেখা দিচ্ছে। যার ফলে আতঙ্ক যেন আরো বাড়ছে। 

 

করোনা ও ফ্লু আলাদা করতে হলে প্রথমেই আমাদের করোনা আর ফ্লুর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। দুই রোগের মধ্যে মিল থাকলেও কিছু পার্থক্যের কারণে দুটির মধ্যে অমিলও রয়েছে। 

 

করোনা ও ফ্লুর মধ্যে মিল ও অমিল:

 

করোনা ও ফ্লু দুইটি সমান ঝুঁকিপূর্ণ মনে না হলেও করোনা এবং ফ্লু দুইটি ছড়ায় সমানভাবে। কোভিডের ড্রপলেটগুলো বড় বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা হতে পারে। ফ্লুর তুলনায় করোনা ছড়িয়ে পড়ে খুব সহজেই। ফ্লু ও কোভিড দুইটির লক্ষণ এক হওয়ায় পার্থক্য করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে দুটোর লক্ষণ এক হলেও করোনা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ফ্লুর তুলনায় করোনায় আক্রান্ত হলে মানুষ অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যায়।

 

উভয়ের লক্ষণে পার্থক্য:

করোনা ও ফ্লুর মধ্যে পার্থক্যের কথা আসলেই চারটি প্রধান বিষয়ের কথা মাথায় আসে। করোনায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে যা ফ্লুতে থাকে না। করোনায় স্বাদ, গন্ধ চলে যায় কিন্তু ফ্লুতে যায় না। করোনায় মাথা ব্যথা থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ফ্লুতেও মাথা ব্যথা হয়। করোনা হলে খুব বেশি শরীর ভেঙ্গে পড়ে ও অসুস্থ লাগে অন্যদিকে ফ্লুতে এত বেশি অসুস্থ লাগে না।

 

উভয়ের লক্ষণে মিল:

ঝার উপায় নেই যে করোনা নাকি ফ্লু।

 

১। জ্বর।
২। নাকে পানি আসা।
৩। গলা ব্যথা।
৪। ক্ষুধা মন্দা। 
৫।গন্ধ-হীনতা।

 

প্রতিকার: 

 

বাইরে অযথা ঘোরাঘুরি বন্ধ করলে করোনার সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যাবে। সবচেয়ে যে বিষয়টি জরুরী তা হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। এছাড়া অনেকেই মাস্ক পরার বিষয়ে অবহেলা প্রকাশ করে। মাস্ক পরার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। সেই সাথে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।  করোনা ও ফ্লুয়ের মধ্যে পার্থক্য না বুঝেই জ্বর হলে আতঙ্কিত হওয়া যাবেনা। বরং একটু মাথা ঠাণ্ডা করে লক্ষণগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। 

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ