‘হার্ট ফেল’ করলে নারীদের করণীয় কি?
হৃদপিণ্ড অকার্যকর বা হার্ট ফেইলিওর বেশ জটিল একটি সমস্যা। হার্ট ফেইলিওর মানে হলো হার্ট অকার্যকর হয়ে যাওয়া। একজন মানুষের যখন হার্ট ফেল করে তখন হার্ট কাজ করতে পারে না। হার্ট ডট অর্গ বলছে, শরীরের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে যখন হৃদপিন্ড পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে না তখন তাকে হার্ট ফেল বলে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী সে দেশের ৬৫ লাখ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের হার্ট ফেল জনিত রোগে ভুক্তভোগী।
কিন্তু মানুষকে চলতে হলে জানতে হবে। এ বিষয়ে সীমিত ধারণা রাখে নারীরা। নারীদের অধিকাংশই মনে করে, হার্ট ফেল হলে এই বুঝি আর রক্ষে নেই। এই বোধ হয় মৃত্যু ঘনিয়ে এলো। বিষয়টি অতটা মারাত্মক না হলেও, রোগটি কিন্তু মারাত্মক বা পরিস্থিতিটা একটু জটিল। হার্ট ফেল করা মানে, হার্ট সেই মুহূর্তে তার কাঙ্ক্ষিত কাজ করতে পারছে না।
হার্ট ফেলের কারণ:
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) হার্ট ফেলের কারণ হিসেবে বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করেছে। এসব শর্ত এবং অস্বাভাবিক কার্যক্রম হার্টফেলের অন্যতম কারণ বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। সেসব কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. করোনারি আর্টারি ডিজিজ (সিএডি)
২. ডায়াবেটিস
৩. উচ্চ রক্তচাপ
৪. স্থুূলতা
৫. হৃদপিন্ডের ভালভ সংক্রান্ত ব্যাধি
৬. ধূমপানে অভ্যস্ত হওয়া
৭. চর্বি, কোলেস্টেরল এবং সোডিয়াম জাতীয় খাদ্য অধিক পরিমাণে গ্রহণ
৮. শারিরিক ব্যায়ামের শূণ্যতা
৯. অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ
হার্ট ফেলের লক্ষণ
১. নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
২. শুয়ে শুয়ে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া
৩. পা, পায়ের গোড়ালি বা পাকস্থলীর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা ওজন বৃদ্ধি
৪. ক্লান্ত ও দুর্বল হওয়ার অনুভূতি প্রতিনিয়ত চলমান থাকা
৫. ক্ষুধা কিংবা বমিভাবের অভাব
৬. স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি
৭. হৃদস্পন্দন বা হার্ট রেট বৃদ্ধি
হার্ট ফেল থেকে বাঁচতে চাইলে:
হার্ট ফেল একটি গুরুতর ব্যাধি। কিন্তু এটি দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ বিষয়। বিশেষ করে বয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে এ সমস্যার প্রকোপ বেশী থাকে। ব্যাধিটি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ঠিকমতো ওষুধ সেবন, ওজন কমানো, খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, নিয়মিত চেকআপে থাকার মাধ্যমে হার্ট ফেইলিওর জাতীয় জটিলতাগুলো এড়াতে পারবেন এবং অবশ্যই সুস্থ দীর্ঘমেয়াদি জীবন যাপন করতে পারবেন।
চিকিৎসা:
হার্ট ফেইলের চিকিৎসা বিষয়টিও খুব জটিল এমনটি নয়। নিয়মিত চিকিৎসা এ রোগের নিরাময় করতে পারে। এসবের মধ্যে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ হচ্চে-
১. ওষুধ খাওয়া
২. ডায়েটে সোডিয়াম হ্রাস করা
৩. কম তরল পান করা
৪. ডিভাইসগুলি যা রক্ত থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং জল সরিয়ে দেয়
৫. হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট এবং অন্যান্য সার্জারি
৬. প্রতিদিনের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ পাওয়া