Skip to content

রূপচর্চায় ভাতের মাড়

রূপচর্চায় ভাতের মাড়

রূপচর্চার জন্য কত কৃত্রিম জিনিসই না আমরা ব্যবহার করি। কিন্তু আমাদের আশেপাশেই রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যায় ও ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আবার আমাদের হাতের পাশে কত জিনিসই তো আমরা অপ্রয়োজনীয় ভেবে ফেলে দেই। অথচ একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে এসব জিনিসের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ সব কার্যকরী ক্ষমতা। এই যেমন ধরুন ভাতের মাড়।

প্রতিদিন ভাত রান্না শেষে মাড়টুকু কিন্তু আমরা ফেলেই দেই, কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন এই মাড় হতে পারে আপনার রূপসৌন্দর্য্যে কার্যকরী উপাদান? কিভাবে, সেটিই ভাবছেন তো? আসুন তবে জেনে নেই কিভাবে ভাতের মাড় দিয়ে আপনি করতে পারেন রূপচর্চা।

এরজন্য প্রথমেই ঘন ভাতের মাড় পরিষ্কার রেখে ভালোভাবে ছেঁকে নিন৷ এরপর এটিকে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে নরম তুলার সাহায্যে বেশি করে নিয়ে মুখে মিনিট পাঁচেক মালিশ করুন। তারপরে শুকনো সিট মাস্ক মাড়ের উপর দিয়ে বসিয়ে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে টেনে তুলে নিন। এতে আপনার মুখের ত্বক টানটান হবে৷

শুধু তাই নয়, এতে ত্বকের আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতা বাড়া, ছোপ ছোপ দাগ, মেসতা, ত্বকের রুক্ষতার মত সমস্যাও দূর হয়৷

ভাতের মাড় ব্যবহার করতে পারেন ব্রণের সমস্যা দূর করার ওষুধ হিসেবেও। সেজন্য মাড় ছেঁকে নিয়ে ভালোভাবে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। ঘন মাড়ে কয়েক ফোটা লেবুর রস দিয়ে নিন। এতে ব্রণের সঙ্গে দাগও দূর করবে। এছাড়া এই ঘন প্যাকটি তুলার সাহায্যে চোখের চারপাশে মালিশ করে টিস্যু দিয়ে ঢেকে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে বলিরেখা ও চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হবে।

দুধের সঙ্গে মাড় মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক খুব টানটান হয় এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

শুষ্ক ত্বকের জন্যও ভাতের মাড় খুব উপকারী। এক্ষেত্রে মাড়ের সঙ্গে সামান্য অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এরপর এটি মুখে ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের চাকচিক্য বাড়বে ও ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে।

ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের বিকল্প নেই। তাই ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে দেখতে পারেন ভাতের মাড়।

অনন্যা/এসএএস