বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বাবা-মায়ের হাতে খুন পরিচালক
বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক বাবাক খোরামদিনকে খুন করেছে তার বাবা মা। ৪৭ বছর বয়সী এই পরিচালকে খুন করে তার মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয় আবর্জনার থলিতে।
১৬ মে রবিবার পশ্চিম তেহরানের একবাতান এলাকা থেকে পরিচালকের টুকরা করা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, এটি ‘সম্মান রক্ষার্থে খুন’। গ্রেপ্তার করা হয় বাবাকের মা-বাবাকে। খুনের দায় স্বীকার করেছেন তারা।
গণমাধ্যমকে পরিচালকের বাবা বলেন, ছেলেকে অবচেতনের ওষুধ খাইয়ে খুন করার পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে দেহ কেটে ব্যাগে ঢুকানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার ছেলে অবিবাহিত। আমাদের বিরক্ত করত। একদিনও আমরা নিরাপদ অনুভব করতাম না। যা ইচ্ছা তাই করত। ওর মা ও আমি মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম, সমাজে আর সম্মান হারাব না।
এদিকে, তেহরান আদালতের বিচারপতি মোহাম্মদ শাহরিয়ারি জানিয়েছেন, বাবাকের বাবা দোষ স্বীকার করেছেন। এছাড়াও এই দম্পতি তাদের মেয়ে এবং জামাইকে খুন করার কথাও স্বীকার করেছেন।
এমন ঘটনায় কোন আক্ষেপ নেই বলেও জানান বাবাক খোরামদিনের বাবা। এমন স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে তার বাবা মা।
বাবাক খোরামদিন ২০০৯ সালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিনেমায় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ক্রেভাইস’ ও ‘ওথ টু ইশার’র মতো জনপ্রিয় স্বল্পদৈর্ঘ্যের সিনেমা পরিচালনা করেছেন।