Skip to content

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাসের শুরুতে খরচ কমানোর কিছু উপায়

মাসের শুরুতে হাতে টাকা পয়সা তো আসছে, কিন্তু এ কী? মাস শেষে সঞ্চয় তো দূরের কথা, পকেট যেন গড়ের মাঠ। টাকা-পয়সা হাতে এলেই খরচ হয়ে যায়। প্রতিদিন নানা ভাবে আপনার পকেট থেকে টাকা বের হতেই থাকে। এর সবটা যে আবার পরিকল্পনা-মাফিক, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় আপনি অপরিকল্পিতভাবেও খরচ করে ফেলেন। খরচ সবচেয়ে বেশি হয় মাসের শুরুতেই। তাই খরচের লাগাম টানতে হবে শুরুর দিকেই। আর তার জন্য যেনে নিতে পারেন কিছু টিপস:

অনলাইন কেনাকাটা কমানো:

টাকা-পয়সাকে অনেকটাই তুলনা করা যায় তরল পদার্থের সঙ্গে। যতই হাতের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন বেরিয়ে যাবে খুব সহজেই। বিলাসিতায় গা ভাসাতে গিয়ে আমরাও যেন হাত বাড়িয়ে থাকি অপচয় করার জন্য। কখনো আবার নিজের অজান্তেই অপচয় করে ফেলি। বর্তমান সময়ে আমাদের অনলাইন কেনাকাটার ঝোঁক প্রকট আকারে দেখা যাচ্ছে। পছন্দসই কোনো একটা জিনিস দেখলেন, তার মানে নাছোড়বান্দা আপনাকে সঙ্গে সঙ্গেই অর্ডার করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে শুরুতেই পকেট ফাঁকা করবেন না।

রেস্তোরাঁয় ও বেড়াতে যাওয়া সীমিত করা:

মাসের শুরুতে হাতে অর্থের আগমন, তো লাফ দিয়ে মন বায়না ধরলো বিলাসবহুল কোনো রেস্তোরাঁয় খেতে যেতে হবে, আপনি বেচারাও গিয়ে মাসের শুরুতেই পকেট ফাঁকা করে চলে আসবেন। শুধু এসবই নয় বিলাসবহুল স্থানে বেড়াতে যাওয়া, অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা ইত্যাদি যেন আমাদের নিত্যদিনের ঘটনা । প্রথমেই দরকার এই অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো চিহ্নিত করা ও এসব থেকে দূরে থাকা। মনে রাখতে হবে, অর্থ অপচয় না করলেই তা সঞ্চয় হবে।

খরচের জন্য তালিকা সংরক্ষণ:

একটি হিসাবের খাতা তৈরি করুন। মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার সব খরচের হিসাব সেই খাতায় তুলে রাখুন। এতে মাস শেষে আপনার খরচের তালিকা করা সহজ হবে। সঠিকভাবে খরচের হিসাব রাখা সম্ভব হলে আপনার নিজের ব্যয়গুলো যেমন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তেমন কার্যকরভাবে ব্যক্তিগত বাজেট তৈরি ও তা বাস্তবায়ন করতে পারবেন। এ পন্থা অবলম্বন করে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ থেকেও বাঁচানো সম্ভব। আপনাকে মাস শেষে গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খেতে হবে না, কোন খাতে কত খরচ করেছেন, তা নিয়ে৷

শুরুতেই সঞ্চয় করুন:

আমাদের একটি প্রচলিত ধারনা, মাস শেষে যা বেচে যাবে তাই সঞ্চয় করে রাখবো। এই ধারনার কারণেই আমরা দিনশেষে খরচের লাগামটা টেনে ধরতে ব্যর্থ হই। তাই শুরুতেই বাড়তি অর্থ সরিয়ে ফেলুন। আপনার হাতে যে টাকা আসবে তা থেকে খরচের জন্য নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা আগেভাগেই সঞ্চয় করে রাখুন। মনে রাখবেন টাকা হাতে থাকলে আপনার চাহিদা কখনোই ফুরাবেনা। তখন সঞ্চয় করা তো দূরে থাক, মাস শেষে টানাটানি অবস্থা হয়ে যাবে। তাই শুরুতেই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করার অভ্যাস করুন। এতে মাসের শুরুতেই সঞ্চয় যেমন হবে তেমনি খরচের লাগাম টানার অভ্যাসও হয়ে যাবে।

তালিকা ধরে কেনাকাটা:

আমাদের আয়ের বেশির ভাগ অর্থই আমরা কেনাকাটার পেছনে ব্যয় করি। তাই খুব বেশি সতর্ক হতে হবে কেনাকাটার ব্যাপারে। কেনাকাটায় কিছু নিয়ম মেনে চললে অতিরিক্ত খরচ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রথম কাজ হচ্ছে কেনাকাটার প্রয়োজনীয় জিনিসের একটি তালিকা তৈরি করা এবং দোকানে গিয়ে সেই তালিকা ধরে কেনাকাটা করা। দোকানে গিয়ে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে জিনিস কেনার প্রবণতায় খরচ হয়ে যেতে পারে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ। তাই তালিকার বাইরে কেনাকাটা বাদ দিন।

তো কী ভাবছেন? নতুন মাসে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ করে শুরুতেই পকেটকে গড়ের মাঠ বানাবেন? না কি একবার খরচের লাগাম টেনে ধরার এ পন্থাগুলো প্রয়োগ করে দেখবেন?

অনন্যা/জেএজে

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ