Skip to content

৯ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যত্নে রাখুন প্রিয় শাড়ি

আবহমান কাল থেকেই নারী ও শাড়ির সম্পর্ক সুনিবিড়। বাঙালী নারীর কাছে শাড়ি মানেই হচ্ছে সৌন্দর্যের সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাকরণ। বাঙালি নারী ও শাড়ি একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

সুযোগ পেলেই যে পোশাকটি পরার কথা সবার আগে মাথায় আসে, তা হলো শাড়ি। শাড়ির প্রতিটা কুচিতে থাকে আনন্দ, শাড়ির প্রতিটা ভাঁজে থাকে মায়া।

নারীরা যেমন যত্ন করে শাড়ি পরে, তেমনি পরা শেষ হয়ে গেলে যত্ন করে শাড়িটি আলমারিতে তুলে রাখে। কখনো বা পুনরায় পরার আশায়। কখনো বা ভালোবেসে স্মৃতি হিসেবে। তবে আলমারিতে ভাঁজ করে তুলে রাখা শাড়ির সঠিক যত্ন হচ্ছে কি না, তা নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।

প্রতিটি জিনিসেরই নিজস্ব ধরনের থাকে। তেমনি আলমারিতে শাড়ি গুছিয়ে রাখারও একটা ধারণা আছে। সব শাড়ি একভাবে আলমারিতে ভাঁজ করে রাখা যাবে না। আবার সব শাড়ি আপনি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়েও রাখতে পারবেন না। তবে কিভাবে রাখবেন আপনার প্রিয় শাড়িগুলোকে যত্নে! চলুন সংক্ষেপে জেনে নেই,

সুতির শাড়ির যত্ন
সুতির শাড়ি বলতে শুধু এক ধরনের শাড়ি নয়। সুতির শাড়ির মধ্যে রয়েছে তাঁত, হাফসিল্ক, টাঙ্গাইল, মার্সেলাইস এই ক্যাটাগরির সব শাড়ি। এই ধরনের শাড়িগুলো পরা শেষে ঠাণ্ডা পানিতে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে এরপর মাড় দিতে হবে। বেশি কড়া রোদে নয় হালকা রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর ভালো করে ইস্ত্রি করে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুতে হবে।

অন্যান্য শাড়ি
অন্যান্য শাড়ি বলতে তসর, সিল্ক, জর্জেট ও নানা ধরনের পিচ্ছিল ক্যাটাগরির শাড়িকে বোঝানো হয়েছে। এই ধরনের শাড়িগুলো বেশি ধোয়ার দরকার নেই। এই ধরনের শাড়ি হ্যাঙ্গারে ঝোলাবেন না। ভাঁজ করে প্লাস্টিক পেপারে ভরে রাখবেন।

আলমারিতে শাড়িগুলো যত্ন করে রাখবেন। শাড়ি রাখার আগে পুরো আলমারি ভালোভাবে মুছে নেবেন। পেপার বিছিয়ে কালোজিরা, নিমপাতা বা নেপথলিন ছিটিয়ে দিবেন। প্যাকেট করা শাড়িগুলোতে একটা করে নেপথলিন রেখে দিন। যেন পোকামাকড় আক্রমণ না করতে পারে। মাসে একবার আলমারি পরিষ্কার করুন। আর শাড়িগুলো হালকা রোদে মেলে দিন।

অনন্যা/ডিডি

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ