বিদ্যার দেবীর আরাধনার দিন আজ
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ। সনাতন ধর্মমতে, জ্ঞান ও বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী ভক্তদের মানবীয় চেতনায় উদ্দীপ্ত করতে প্রতিবছর মর্ত্যে আবির্ভূত হন। দেবী সরস্বতীর আরাধনা করেন মর্ত্যের ভক্তকুল। ঢাক-ঢোল-কাঁসর-শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে দেশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ।
শাস্ত্র মতে, প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শ্বেতশুভ্রা কল্যাণময়ী বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়। শ্বেতশুভ্র বসনা সরস্বতী দেবীর এক হাতে বেদ, অন্য হাতে বীণা থাকে। এ জন্য তাকে বীণাপাণিও বলা হয়। তাকে ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আধার হিসাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আরাধনা করেন।
করোনা মহামারির কারণে গত তিন বছর অনাড়ম্বর সীমিত পরিসরে পূজা হলেও সংক্রমণ কমে যাওয়ায় এবার আড়ম্বরপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে সরস্বতী পূজা। প্রতিবছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সরস্বতীর পূজার মহা আয়োজন চলছে। চারুকলা বিভাগ এবারও হলের পুকুরে মাঝখানে দৃষ্টিনন্দন ভাসমান মণ্ডপ গড়ে তুলেছে। এছাড়াও দেশের অধিকাংশ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিদ্যার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে, মণ্ডপ-মন্দিরে ভক্তিভরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সরস্বতী পূজা।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্য আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। তিনি দেবী সরস্বতীর পূজার্চনা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে জ্ঞানার্জনে ব্রতী হয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান।